২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

৩০ কোটি চাকরির জায়গা নিয়ে নিতে পারে কৃত্রিম

৩০ কোটি চাকরির জায়গা নিয়ে নিতে পারে কৃত্রিম -

সম্প্রতি ব্যপক জনপ্রিয়তা পাওয়া ব্যবস্থাটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সামগ্রিক কর্মশক্তির এক চতুর্থাংশ চাকরির জায়গা নিতে পারে- এমন ধারণার প্রতিফলনই মিলল ‘গোল্ডম্যান স্যাকস’-এর প্রতিবেদনে। সব মিলিয়ে ৩০ কোটি চাকরি হারিয়ে যেতে পারে এআইয়ের কারণে। তবে, এই ব্যবস্থার মাধ্যমে নতুন চাকরি ও উৎপাদনশীলতাও বাড়তে পারে। মানুষের কাজ থেকে আলাদা করা যায় না বিভিন্ন এমন কনটেন্ট তৈরিতে সক্ষম জেনারেটিভ এআইকে বড় ধরনের অগ্রগতি হিসেবে প্রতিবেদনে আখ্যা দেয়া হয়েছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের সরকার। তারা বলছে, শেষ পর্যন্ত এটি গোটা অর্থনীতিকে উৎপাদনশীল করে তুলবে। এর প্রভাব নিয়েও নিজ দেশের জনগণকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছে তারা। এআইয়ের প্রভাবে বিভিন্ন সেক্টরে পরিবর্তন আসবে, যেখানে প্রশাসনিক খাতের ৪৬ শতাংশ ও আইনি পেশার ৪৪ শতাংশ কার্যক্রম স্বয়ংক্রিয় উপায়ে প্রচালিত হতে পারে। তবে, নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণভিত্তিক খাতে যথাক্রমে ৬ ও ৪ শতাংশ ভূমিকা রাখবে এআই।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি মার্টিন স্কুলের ফিউচার-অফ-ওয়ার্কের পরিচালক কার্ল বেনেডিক্ট বলেন, জেনারেটিভ এআই কতগুলো চাকরি প্রতিস্থাপন করবে, তা জানার কোনো উপায় নেই। চ্যাটজিপিটি তুলনামূলক গড়পড়তা লেখনীর দক্ষতা থাকা লোকজনকে প্রবন্ধ ও আর্টিকেল তৈরির সুবিধা দেয়। এতে তুলনামূলক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়বেন সংবাদকর্মীরা। আর আমরা যদি এ ধরনের কার্যক্রমে ব্যাপক চাহিদা দেখতে না পাই, তবে এর ফলে তাদের বেতনও কমে যেতে পারে। জেনারেটিভ এআইয়ের পূর্ববর্তী তথ্য প্রযুক্তি অগ্রগতির মতো হলে নিকটবর্তী মেয়াদে এটি কর্মসংস্থান কমিয়ে দিতে পারে।


আরো সংবাদ



premium cement