২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সব স্মার্টফোন নির্মাতাকেই একই ধরনের চার্জার ব্যবহার করতে হবে

সব স্মার্টফোন নির্মাতাকেই একই ধরনের চার্জার ব্যবহার করতে হবে -

সব স্মার্টফোনে বাধ্যতামূলক ইউএসবি-সি পোর্টের চার্জার সংক্রান্ত নীতিমালা অনুমোদন করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ইইউ। ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট ও ইউরোপিয়ান কাউন্সিল এতে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে। এবার চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে ২০২৪ সাল থেকেই সব ফোনে একই ধরনের চার্জার থাকতে হবে। বিশেষ করে ইউরোপের বাজারে কার্যক্রম পরিচালনা করা সব স্মার্টফোন কোম্পানিকেই একই ধরনের চার্জার ব্যবহার করতে হবে।
ভবিষ্যতে যত ফোন লঞ্চ হবে, তা সে যে ব্র্যান্ডেরই হোক না কেন, থাকতে হবে ইউএসবি-সি পোর্ট।
অনেক দিন ধরেই এক ফোন এক চার্জার নীতিমালার পক্ষে জোরেশোরে প্রচারণা চালিয়ে আসছিল ইইউ কর্তৃপক্ষ। অবশেষে ইইউর আইনপ্রণেতারা অবশেষে এমনই সমঝোতায় পৌঁছেছেন। এ নিয়মে চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে অ্যাপল। তবে আগামী দিনে অ্যাপল বাজারে এমন কিছু ফোন নিয়ে আসতে চলেছে, যাতে আর লাইটনিং পোর্ট থাকবে না। বদলে থাকবে সর্বজনীন ইউএসবি-সি। ইইউর এ চূড়ান্ত সিদ্ধান্তকে মাথায় রেখে খুব সম্ভবত ২০২৩-এর শেষ বা ২০২৪ সালের প্রথমেই ইউএসবি-সি পোর্টের হ্যান্ডসেট নিয়ে আসবে অ্যাপল।
স্মার্টফোন ছাড়াও ইইউর নতুন নিয়মটি কার্যকর হবে অন্য আরো ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ক্ষেত্রে। তার মধ্যে রয়েছে ট্যাবলেট পিসি, ডিজিটাল ক্যামেরা, হেডফোন, হ্যান্ডহেল্ড ভিডিও গেম কনসোল ও ই-রিডার।
সবার জন্য একই চার্জার নীতি আসলে ইইউয়ে ই-বর্জ্যরে পরিমাণ কমানোর অন্যতম একটা পদক্ষেপ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। আইনটি একবার বলবৎ হয়ে গেলে স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলো আর তাদের ফোনের রিটেল বক্সে চার্জার দেবে না। কারণ সেই ক্রেতার বাড়িতে এরই মধ্যে একটা ইউএসবি টাইপ-সি কেবল রয়েছে।
ইইউর পরিসংখ্যানে দেখা যায়, নতুন আইনে প্রতি বছর অন্তত ২৪ কোটি ইউরো বা ২৮ কোটি ডলার অর্থ সাশ্রয় হবে, যা অযথা চার্জার কেনার পেছনে ব্যয় করা হতো। এ ছাড়া প্রতি বছর ১১ হাজার টন ই-বর্জ্য কমাতে সাহায্য করবে এ আইন।


আরো সংবাদ



premium cement