চিপস্বল্পতায় কাক্সিক্ষত পিসি সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে
- আহমেদ ইফতেখার
- ১৫ অক্টোবর ২০২১, ০০:০৫
গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনার ও ইন্টারন্যাশনাল ডাটা করপোরেশন (আইডিসি) উভয়ের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের পিসি বাজার কিছুটা সম্প্রসারিত হলেও তা গত বছরের চেয়ে কম। কোভিড-১৯ মহামারীর প্রভাবে সাপ্লাই চেইনে সঙ্কটের কারণে সৃষ্ট চিপস্বল্পতায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যক্তিগত কম্পিউটার (পিসি) বাজারে। গত বছর ধরে চলা মহামারীতে অনেক গ্রাহকই নতুন পিসি কিনেছেন। ঘরে থেকে কাজ এবং ক্লাসনির্ভরতা বৃদ্ধিতে দেড় বছর ধরেই পিসি বিক্রিতে প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। তবে এতে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সাপ্লাই চেইনে সঙ্কট ও চিপস্বল্পতা। যার কারণে কাক্সিক্ষত পিসি সরবরাহে হিমশিম খাচ্ছে পিসি নির্মাতা কোম্পানিগুলো। এছাড়া যারা একবার পিসি কিনে ফেলেন তারা সাধারণত দীর্ঘ সময়ের জন্য নতুন পিসি কেনেন না। এ কারণে সাম্প্রতিক দুই প্রান্তিকে পিসি ক্রয় প্রবৃদ্ধিতে শ্লথগতি দেখা যাচ্ছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনার বলছে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক থেকেই ভোক্তারা পিসি ও অন্যান্য শিক্ষামূলক উপকরণে বিনিয়োগ কমানো শুরু করেছে। এতে পিসির চাহিদা কমেছে।
আইডিসিসহ অপর বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান ক্যানালিসের দাবি, সাপ্লাই চেইনে সঙ্কটের প্রধান কারণ করোনা মহামারী। আইডিসির মোবাইল অ্যান্ড কনজ্যুমার ডিভাইস ট্র্যাকারসের গবেষণা ব্যবস্থাপক জিতেশ উবরানি বলেন, সাপ্লাই ও লজিস্টিকস বিড়ম্বনায় বছরজুড়েই ভুগছে পিসি শিল্প। দুঃখজনক বিষয় হলো, গত কয়েক মাসেও এ পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।
গার্টনারের পূর্বাভাস, ২০২২ সালের প্রথমার্ধ পর্যন্ত চিপস্বল্পতা বহাল থাকবে। আগামী বছরও অনুভূত হবে চিপ সঙ্কটের প্রভাব। এনভিডিয়া, মাইক্রোসফট, টিএসএমসির সতর্কবাণীর পর এ পূর্বাভাস গার্টনারের। বৈশ্বিক চিপস্বল্পতার কারণে পিসি ও অন্যান্য গ্যাজেটের দাম বাড়বে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা