১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কোভিড-১৯ মহামারীতে ইন্টারনেট অর্থনীতির প্রসার বাড়ছে

-

কোভিড-১৯-এর কারণে ঘরবন্দী মানুষের মধ্যে রিমোট ওয়ার্কের পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় এবং বিনোদনের জন্য ইন্টারনেট-নির্ভরতা উল্লেøখযোগ্য হারে বেড়েছে, যা ইন্টারনেট অর্থনীতির আকার প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটিতে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর এবং ফিলিপাইনের তথ্য উঠে এসেছে। যেখানে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারী দ্রুত বাড়ছে। শুধু চলতি বছরেই অঞ্চলটিতে নতুন চার কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী যুক্ত হয়েছে। এর ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪০ কোটিতে পৌঁছেছে।
নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণে সৃষ্ট কোভিড-১৯ মহামারী স্থায়ী এবং ব্যাপক পরিসরে ডিজিটাল প্রযুক্তি গ্রহণের প্রবণতা সৃষ্টি করেছে। নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশ ও অঞ্চল শুরুতে ভাইরাস প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়তে ব্যর্থ হয়। এরপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশনা মেনে অনেক দেশ লকডাউন ঘোষণা করে। এর ফলে শত শত কোটি মানুষ কার্যত ঘরবন্দী হয়ে পড়েছিল। মহামারীর ভয়াবহতা বিবেচনায় নিয়ে কর্মীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার স্বার্থে অনেক বহুজাতিক ও স্থানীয় প্রতিষ্ঠান রিমোট ওয়ার্ক বা বাসায় থেকে অফিসের কাজ করার সুবিধা চালু করে। মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়ে অনলাইনে নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। কর্মীদের বাসায় থেকে কাজের সুবিধা চালু করায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও প্রযুক্তিপণ্য ও ইন্টারনেটের সহায়তা নিতে বাধ্য হয়, যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইন্টারনেট অর্থনীতির আকার বৃদ্ধি করেছে।
কোভিড-১৯ মহামারী ঠেকাতে ঘোষিত লকডাউনে লাভবান হয়েছে অনলাইন খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো। কারণ সংক্রমণের ভয়ে মানুষের মধ্যে বাসা থেকে পণ্য ক্রয়ের একটা প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে খাবার থেকে শুরু করে ফ্যাশন পণ্যও এখন অনলাইনে ক্রয়ে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। আর এর ফলেই ২০২০ সাল শেষে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইন্টারনেট অর্থনীতি ১০ হাজার ৫০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে।


আরো সংবাদ



premium cement