২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এক উচ্চাভিলাষী ও দূরদর্শী উদ্যোক্তার প্রয়াণ

-

দক্ষিণ কোরিয়ার বহুজাতিক কোম্পানি স্যামসাংকে প্রভাবশালী বৈশ্বিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে রূপ দেয়ার কারিগর স্যামসাং ইলেকট্রনিকসের চেয়ারম্যান লি কুন হি। গত রোববার ৭৮ বছর বয়সে লি মারা যান।
দূরদর্শী লি স্থানীয় ব্যবসায় থেকে স্যামসাংকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় উদ্ভাবক এবং শক্তিশালী শিল্প খাতে রূপান্তরিত করেছিলেন।
তিনি স্যামসাংয়ের হাল ধরেন ১৯৮৭ সালে। স্যামসাংয়ের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান লি বাইউং-চুলের মৃত্যুর পর লির হাতে এসেই কোম্পানি নতুন জীবন পায়। তার আগে পর্যন্ত পশ্চিমের বাজারে সস্তা টেলিভিশন আর মাইক্রোওয়েভ ওভেনের প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত ছিল স্যামসাং। লির নেতৃত্বেই স্যামসাং বিশ্বের বৃহত্তম স্মার্টফোন ও মেমোরি চিপ নির্মাতা হিসেবে উঠে এসেছে।
বাবা লি বাইউং-চুলের মৃত্যুর পর স্যামসাংয়ের দায়িত্ব নিলেও তখন এশীয় এই কোম্পানির নাম পশ্চিমে খুব একটা পরিচিত ছিল না। বড়জোর তারা ভাবত এটি একটি টেলিভিশন ও মাইক্রোওয়েভ ওভেন চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান, যেসব পণ্য সস্তা বা ডিসকাউন্ট শপগুলোতে পাওয়া যায়। ৪৫ বছর বয়সে কোম্পানির হাল ধরেন লি। ২০১৩ সালেই স্যামসাংকে বিশে^র অষ্টম শীর্ষ কোম্পানিতে পরিণত করেন তিনি।
লির বাবা বাইউং-চুল লি স্যামসাং গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন ১৯৩৮ সালে। এ কোম্পানি তখন কোরিয়ান শুঁটকি মাছ, সবজি এবং ফল চীনে রফতানি করত। ১৯৬৯ সালের আগে অর্থাৎ কোম্পানি প্রতিষ্ঠার ৩১ বছর পর্যন্ত স্যামসাং কোনো ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিক্রি শুরু করেনি। এবং ১৯৯০-এর দশকের আগে পর্যন্ত কুন-হি লি সস্তা পণ্যের কোম্পানি বলে যে অমর্যাদা ছিল স্যামসাংয়ে তা ঘুচিয়ে হাইঅ্যান্ড পণ্য নির্মাণের পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। বর্তমানে স্যামসাং বিশে^র অন্যতম বৃহৎ স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান। প্রায় এক দশ ধরে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছিল স্যামসাং। গত বছর চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ে স্যামসাংকে ছাড়িয়ে যায়। তবে সিনো-মার্কিন বাণিজ্য বিরোধের জেরে হুয়াওয়ে আবার পিছিয়ে যাবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement