২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিক্ষোভের মুখে যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হলো অ্যাপল স্টোর

-

কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে বিশ্বের অনেক দেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রেও অ্যাপল স্টোরগুলো দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। সম্প্রতি পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রায় বেশির ভাগ স্টোর চালু করে প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বর্ণবাদবিরোধী তীব্র বিক্ষোভের মুখে আবারো স্টোরগুলো বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে অ্যাপল। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেপোলিসে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের নির্যাতনে জর্জ ফ্লয়েড (৪৬) নামে এক কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যু হয়। নিহত ওই ব্যক্তি ‘ একজন সাবেক বাস্কেটবল খেলোয়াড় ছিলেন। জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুতে বিক্ষোভে উত্তাল পুরো যুক্তরাষ্ট্র। ওই ঘটনার পর বর্ণবৈষম্যের প্রতিবাদের সুযোগ নিয়ে চলছে চুরি, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা। এ ধরনের হামলার কবলে পড়েছে কয়েকটি অ্যাপল স্টোর। যে কারণে অ্যাপল স্টোরগুলো আবার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাপল কর্তৃপক্ষ।
অ্যাপলের সবচেয়ে কাক্সিক্ষত পণ্য হলো আইফোন। যুক্তরাষ্ট্রের লুটকারীরা অ্যাপল স্টোরে চুরি করার সময় এই একটি পণ্যের প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছে সবচেয়ে বেশি। যারা ফোন চুরি করতে পারেনি তারা ব্যাককভারও ছাড়েনি। ওয়াশিংটন ডিসি, লস অ্যাঞ্জেলেস, স্যানফ্রান্সিসকো, নিউইয়র্ক ও ফিলাডেলফিয়া কোথাও এ চিত্রের ব্যতিক্রম ঘটেনি। কিন্তু অ্যাপলের পণ্য লুট করে গায়েব করে দেয়া সহজ নয়। অ্যাপল প্রক্সিমিটি সফটওয়্যার ব্যবহার করে লুট করা আইফোনগুলো ডিজেবল করে দিচ্ছে। ফলে লুটকারীরা যখনই ডিভাইসটি খুলছেন তখনই অ্যাপলের পাঠানো সতর্কবার্তা দেখতে পাচ্ছেন। বার্তায় বলা হচ্ছে, এই ডিভাইস ডিজ্যাবল ও ট্র্যাক করা হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে। এই বার্তা দেখে যদি কেউ আইফোন ফেরত দেয় তাহলে তাকে জেলে যেতে হবে না। এর ব্যতিক্রম হলে ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিশ যেকোনো সময় তাদের দরজায় কড়া নাড়তে পারে। ভাঙচুর ও লুটের জেরে ৬ জুন পর্যন্ত অ্যাপল স্টোর বন্ধ থাকবে।
স আহমেদ ইফতেখার


আরো সংবাদ



premium cement