ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত স্যামসাং
- আহমেদ ইফতেখার
- ৩০ মার্চ ২০২০, ০০:৩৯
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে নভেল করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা। এ পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজারে বিক্রি হ্রাসের আশঙ্কা করছে স্যামসাং ইলেকট্রনিকস কোম্পানি লিমিটেড। করোনাভাইরাসের ভয়াবহতার কারণে স্মার্টফোন বিক্রি কমলেও ফ্ল্যাগশিপ চিপ বিক্রি বৃদ্ধি পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, করোনাভাইরাস মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ায় চলতি বছর স্মার্টফোন ও ভোক্তা ইলেকট্রনিকস বিক্রিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। স্যামসাংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কিম কি-নাম বলেন, তারা যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্য বিরোধের জেরে টানা কয়েক প্রান্তিক ধরেই চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছে। এতে বাড়তি জটিলতা সৃষ্টি করেছে করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা। আমরা বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজারে আধিপত্য ধরে রাখতে গ্যালাক্সি সিরিজের ডিভাইস দিয়ে অ্যাপলের আইফোনের সাথে প্রতিযোগিতা করে আসছি। মোবাইল ডিভাইস; বিশেষ করে স্মার্টফোনের উৎপাদন হাবখ্যাত চীনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর ডিভাইস উৎপাদনে বিভ্রাট সৃষ্টি হয়। এখন উৎপাদন স্বাভাবিক হলেও করোনাভাইরাস আতঙ্কে মানুষ শৌখিন পণ্য ক্রয়ে সাবধানতা অবলম্বন করছে।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজার সঙ্কুচিত হলেও চিপ বাজারে চাহিদা বাড়বে। স্যামসাংয়ের পরিচালন মুনাফার প্রায় অর্ধেকই চিপ ব্যবসা বিভাগ থেকে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্যবিরোধের জেরে গত বছর স্যামসাংয়ের চিপ ব্যবসা বিভাগের প্রবৃদ্ধিতেও শ্লথগতি দেখা দিয়েছিল।
স্যামসাংয়ের মোবাইল ও নেটওয়ার্ক ব্যবসায় বিভাগের প্রেসিডেন্ট কোহ ডং-জিন বলেন, চলতি বছর স্মার্টফোন বাজার প্রবৃদ্ধির ধারায় ফেরার পূর্বাভাস ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সে সম্ভাবনা মুছে গেছে। এখন বাজারটি সঙ্কুচিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। যেহেতু পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি ফাইভজির বাণিজ্যিক ব্যবহার শুরু হয়েছে। কাজেই সাধারণ স্মার্টফোন বাজার সঙ্কুচিত হলেও ফাইভজি ডিভাইসের চাহিদা ঊর্ধ্বমুখী থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বর্তমানে স্যামসাংয়ের বেশির ভাগ স্মার্টফোন উৎপাদিত হচ্ছে ভারত ও ভিয়েতনামে স্থাপিত নিজস্ব কারখানায়। তবে করোনাভাইরাস ভারত ও ভিয়েতনামেও ছড়িয়ে পড়ায় স্যামসাং ডিভাইস উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা