২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ পরবর্তী মোকাবেলায় প্রস্তুত নৌবাহিনীর ১৭টি জাহাজ ও হেলিকপ্টার

ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ পরবর্তী মোকাবেলায় প্রস্তুত নৌবাহিনীর ১৭টি জাহাজ ও হেলিকপ্টার - ছবি : প্রতীকী

ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ পরবর্তী জরুরি উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তায় চট্টগ্রাম, খুলনা ও মোংলা নৌঅঞ্চলে মোতায়েনের জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ১৭টি জাহাজ, দুটি মেরিটাইম প্যাট্রোল এয়ারক্রাফট (এমপিএ) এবং দুটি হেলিকপ্টার প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় জরুরি উদ্ধার, ত্রাণ এবং চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে এ সকল জাহাজসমূহকে ত্রাণ সামগ্রীসহ ইতোমধ্যেই প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উপকূলীয় দুর্গত এলাকাগুলোতে মোতায়েনের জন্য নৌ কন্টিনজেন্ট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সমুদ্র ও উপকূলীয় উপদ্রুত এলাকায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনায় নৌবাহিনীর এমপিএ ও হেলিকপ্টারের প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে বঙ্গোপসাগরে অনুসন্ধান ও উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনা করা হবে। প্রথম ধাপে উদ্ধার কাজের জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ (বানৌজা) সমুদ্র অভিযান-কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ এলাকায়, বানৌজা পদ্মা-কুতুবদিয়া ও বহিঃনোঙ্গর এলাকায়, বানৌজা হাতিয়া এবং এলসিটি ১০৩-সন্দীপ ও হাতিয়া সংলগ্ন এলাকায়, এলসিভিপি-১ পটুয়াখালী এলাকায় ও এলসিভিপি-১২ পিরোজপুর ও বরগুনা এলাকায় নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া খুলনার মোংলায় বানৌজা স্বাধীনতা, প্রত্যাশা, প্রত্যয়, ধলেশ্বরী, নির্মূল, জরুরি অনুসন্ধান ও উদ্ধারের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জের পাগলায় বানৌজা অদম্য, অতন্দ্র, দূধর্ষ ও দুর্দান্ত ও ধানসিড়িকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী দুর্গত এলাকাগুলোতে জরুরি চিকিৎসা সহায়তায় বিশেষ মেডিক্যাল টিম জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, স্যালাইন ও অন্য সামগ্রী নিয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত থাকবে। ঝড়ের তীব্রতা ও আঘাতের প্রকোপ পর্যবেক্ষণের পর দ্বিতীয় ধাপে নৌবাহিনীর অতিরিক্ত জাহাজ এবং কন্টিনজেন্টসমূহকে মোতায়েন করা হবে।

সূত্র : বাসস

 


আরো সংবাদ



premium cement