২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের অগ্রভাগ

উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের অগ্রভাগ - ছবি : সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের অগ্রভাগ আঘাত হেনেছে বাংলাদেশের উপকূলে। সোমবার সন্ধ্যায় উপকূল স্পর্শ করার সাথে সাথে প্রবল ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের মাঝামাঝি এলাকায় উপকূল অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। ঘূর্ণিঝড়ের মূল অংশ আজ মধ্যরাতে বরিশাল ও চট্টগ্রামের উপকূল অতিক্রম করবে।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে ইতোমধ্যে আবহাওয়া অধিদফতর থেকে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরিশাল, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলা এবং ওই এলাকার দ্বীপ ও চরগুলোকেও ৭ নম্বর বিপৎসঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর ও কক্সবাজার উপকূল এবং সেখানকার চর ও দ্বীপগুলোকে ৬ নম্বর বিপৎসঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম ঘূর্ণিঝড় সমুদ্রবন্দর থেকে ২৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

এ ঝড়ের ব্যাস ৪০০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার। ফলে এর বর্ধিতাংশ ইতোমধ্যে স্থলভাগে তাণ্ডব চালাতে শুরু করেছে।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দেশের উপকূলের অন্তত ১৩টি জেলা বেশি ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বলে আজ জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান। এসব জেলার মধ্যে রয়েছে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বরিশাল।


আরো সংবাদ



premium cement