১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`
সতর্ক থাকার পরামর্শ

সিলেটের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল দেশেই, হতে পারে ৮ মাত্রা পর্যন্ত

বাংলাদেশের দু’টি বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ভূমিকম্পের শক্তি সঞ্চিত হয়ে আছে - ছবি বিবিসি

বাংলাদেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় সিলেটে শনিবার সকাল থেকে অন্তত পাঁচবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। দফায় দফায় এমন কম্পনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়দের মধ্যে।
আবহাওয়াবিদ ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন সাধারণত বড় কোনো ভূমিকম্পের আগে বা পরে এমন দফায় দফায় মৃদু কম্পন হতে পারে।

ঢাকা আবহাওয়া অধিদফতরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মুমিনুল ইসলাম বলছেন, ‘বেলা তিনটা পর্যন্ত পাঁচবার কম্পন অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে চারটি হলো ৪.১, ৪, ৩ এবং ২.৮ মাত্রার। এর মধ্যে কোনটি এতো মৃদু যে সব স্টেশনে মাত্রা মাপাও যায়নি’।

মুমিনুল ইসলাম বলছেন সিলেটে এমন আর কখনো হয়নি। যদিও সিলেট অঞ্চল দীর্ঘ দিন ধরেই ভূমিকম্পের ঝুঁকির মধ্যে। বিশেষ করে তিনটি প্লেটের সংযোগস্থলে বাংলাদেশে। সিলেটের জৈন্তায় আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। তবে সবগুলোই ছোটো ধরণের ভূমিকম্প। কিন্তু ভূমিকম্পের প্রিশক ও আফটারশক থাকে। অনেক সময় বড় ভূমিকম্পের আগে ছোট কম্পন হয়। আবার বড় ভূমিকম্প হলে তারপর ছোট ছোট কম্পন হয়। যেহেতু সিলেট অঞ্চল ভূমিকম্প প্রবণ সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। তাছাড়া ওই অঞ্চলে বড় ভূমিকম্পের ইতিহাস আছে।

ঢাকায় আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে সিলেটে ৪.১ মাত্রার মৃদু ভূমিকম্পটি প্রথমবার অনুভূত হয়েছে। পরে বেলা ২টা ৩৪ মিনিট ২৯ সেকেন্ডে আরো একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তবে স্থানীয় সাংবাদিক আহমেদ নূর বলছেন সকাল থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত অন্তত পাঁচবার ঝাঁকুনি অনুভূত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যৌথ গবেষণার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠা হয়েছে আর্থ অবজারভেটরি। আর্থ অবজারভেটরির পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলছেন সকালের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল সিলেটেরই জৈন্তা এলাকা। সিলেটের জৈন্তা এলাকার ডাউকি ফল্টেই সকালের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল হিসেবে আমাদের কেন্দ্রে আমরা চিহ্নিত করেছি। ডাউকি ফল্ট পূর্ব পশ্চিমে প্রায় তিন শ’ কিলোমিটার বিস্তৃত এবং এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরেই পলিমাটি দিয়ে ঢাকা।

ভূমিকম্পের প্রবণতা নিয়ে ২০০৩ সাল থেকে গবেষণা করছেন অধ্যাপক হুমায়ুন আখতার। তার গবেষণা মডেল বলছে ইন্ডিয়ান, ইউরেশিয়ান ও বার্মা তিনটি গতিশীল প্লেটের সংযোগস্থলে বাংলাদেশের অবস্থান।

তিনি জানান, বাংলাদেশের দু’দিকের ভূ-গঠনে শক্তিশালী ভূমিকম্পের শক্তি জমা হয়েছে। তবে আজকের প্রথম ভূমিকম্পটি ভালোভাবে বোঝা গেলেও পরেরগুলো ছিলো আরো মৃদু কম্পন অর্থাৎ খুবই হালকা ধরণের। কিন্তু মনে রাখতে হবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দু’টি অঞ্চলে যেভাবে শক্তি সঞ্চিত হয়ে আছে তাতে আট মাত্রা পর্যন্ত ভূমিকম্প হতে পারে। তবে কোন মাত্রার হবে এটা আগে থেকে অনুধাবন সম্ভব না।

অধ্যাপক হুমায়ুন আখতার বলেন, বারবার যেভাবে মৃদু কম্পন অনুভূত হয়েছে তাতে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বড় ধরণের কম্পনও অনুভূত হতে পারে। আবার নাও হতে পারে।

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement
ফরিদপুরের গণপিটুনিতে নিহত ২ নির্মাণশ্রমিক জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি সদস্যপদ লাভের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান

সকল