১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
চট্টগ্রাম চেম্বারে গোলটেবিল

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে টিকে থাকতে ডিজিটালাইজেশনের বিকল্প নেই

-


‘ডিজিটালাইজিং ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক গতকাল চট্টগ্রামের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম চেম্বার এবং ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার-আইসিসি-বি’র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই গোলটেবিল বৈঠকে চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ, আইসিসি-বাংলাদেশের মহাসচিব আতাউর রহমান, চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, মাহফুজুল হক শাহ, মোহাম্মদ আকতার পারভেজ, লুব-রেফর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক মামুনুর রশিদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক মো: রাফিউল মনির, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের যুগ্ম কমিশনার মারুফুর রহমান, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর সহকারী পরিচালক মোরশেদুল হক, রেডসি গেটওয়ে টার্মিনালের হেড অব কমার্শিয়াল সৈয়দ মোহাম্মদ তারেক, এপিএলের (বাংলাদেশ) হেড অব অপারেশন এনামুল হক ও বিএসআরএমের হেড অব কমার্শিয়াল আলী মাহবুব হোসেন বক্তব্য রাখেন। বৈঠকে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তিয়ানমি স্টিলফেন, লিড ফর রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড লিগ্যাল রিফর্ম, ডিজিটাল স্ট্যান্ডার্ড ইনিশিয়েটিভ (ডিএসআই), ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি), সিঙ্গাপুর।

চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৫তম অর্থনীতির দেশ। ফলে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশের সাথে আমাদের আন্তর্জাতিক আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বাড়ছে। কিন্তু বাংলাদেশের ৯০ ভাগ আমদানি-রফতানি হয়ে থাকে কাস্টমসের মাধ্যমে। বাংলাদেশ এখন সর্বত্র ডিজিটালাইজড হলেও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে রয়ে গেছে। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক চেম্বার অব কমার্সের অন্যতম সক্রিয় সদস্য। তাই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে ডিজিটালাইজেশনের কোনো বিকল্প নেই।
আইসিসি-বি মহাসচিব আতাউর রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে আমাদের টিকে থাকতে হলে ডিজিটালাইজেশনের কোনো বিকল্প নেই। এজন্য আমাদেরকে উদ্যোগ নিতে হবে। বাংলাদেশের ট্রেড সাপ্লাই চেইন ফ্যাসিলিটি বাড়ানোর উদ্যোগ হিসেবে ডিজিটাল সেন্টার ইনিশিয়েটিভ নেয়া হচ্ছে আইসিসি পক্ষ থেকে। প্রতি তিনজন শ্রমিকের একজন আইসিসিভুক্ত প্রতিষ্ঠানের সদস্য। ফলে বিশ্বব্যাপী আইসিসিভুক্ত প্রতিষ্ঠানের চেইন দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। তাই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে আধুনিকায়নে এগিয়ে আসতে হবে।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, সরকার ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফ্যাসিলিটেশনের জন্য বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো নিয়ে কাজ করছে। এর মাধ্যমে সরকারের বাণিজ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন সংস্থাকে একই ছাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে কাস্টমস এবং বন্দরে অনলাইনে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা হলেও ডেলিভারি এবং বিভিন্ন কিয়ারেন্সের জন্য ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে যেতে হয়। এ ছাড়াও রয়েছে এইচএস কোড জটিলতা। তাই আমাদেরকে আধুনিকায়নের বাধাগুলো আগে চিহ্নিত করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে আধুনিকায়নে যেতে হবে। এজন্য আমাদের মানসিকতারও পরিবর্তন করা জরুরি।

 


আরো সংবাদ



premium cement