১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

লিবিয়ার ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে মুক্তি পাওয়া ১৬২ বাংলাদেশী দেশে ফিরেছে

-

লিবিয়ার সীমান্ত এলাকা বেনগাজির গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে আটকে থেকে মানবেতর জীবন কাটানো দেড় শতাধিক বাংলাদেশী অবশেষে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম’র সহযোগিতায় মুক্তি পেয়ে দেশে ফেরত আসতে সক্ষম হযেছেন। ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসের চেষ্টায় ও আইওএমর ভাড়া করা লিবিয়ান বুরাক এয়ারের একটি বিশেষ ফ্লাইটে তারা গত সপ্তাহে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এ সময় কারো কারো পরিবার তাদের প্রিয় মানুষটিকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। যাদের পরিবার ছিল না তাদের অনেকে আইওএমর সহযোগিতায় নিজ বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা হয়েছেন। এর আগেই এ প্রসঙ্গে লিবিয়ার ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, দূতাবাসের শ্রম বিভাগের কর্মকর্তারা দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটক বাংলাদেশীদের নিবন্ধন এবং তাদের অনুকূলে আউট পাস ইস্যু করে অভিবাসীদের দেশে ফেরত পাঠাতে সক্ষম হন। দূতাবাস থেকে আরো জানানো হয়েছে, অনেক সময় বাংলাদেশী নাগরিকরা পাচারকারীদের প্ররোচনা-প্রতারণায় পড়ে ইউরোপে যাওয়ার উদ্দেশে লিবিয়ায় অবৈধভাবে চলে আসে। পরে এসব বাংলাদেশীকে বিভিন্ন দালালের কাছে বিক্রি, শারীরিক নির্যাতন, ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির শিকার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে আটক এবং লিবিয়ায় বন্দিদশার সম্মুখীন হতে হয়।
ভুক্তভোগী অভিবাসীদের শেষ পর্যন্ত বিপুল আর্থিক ক্ষতি, চরম দুর্ভোগ, হতাশা ও মানসিক যন্ত্রণার সম্মুখীন হয়ে খালি হাতে দেশে ফিরে যেতে হয়। এ অবস্থায় দালাল ও মানবপাচারকারীদের প্ররোচনায় পড়ে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে অবৈধভাবে লিবিয়া থেকে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে অভিবাসনের চেষ্টা থেকে বিরত থাকার জন্য দূতাবাতের পক্ষ থেকে সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়। একইসাথে অবৈধ অভিবাসনের ঝুঁকি, নেতিবাচক প্রভাব এবং এর ভয়াবহতা তুলে ধরে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্কতামূলক প্রচারণা চালানোর জন্য আহ্বান জানানো হয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে। এ ছাড়াও ভুক্তভোগী অভিবাসীদেরকে দালাল ও পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনিগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করার কথা দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement