১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
রোগীর স্বজনের পেটে ডাক্তারের লাথি

তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ মানবাধিকার কমিশনে

-

রংপুরে রোগীর স্বজনের পেটে ডাক্তারের লাথি মারার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য জেলা প্রশাসককে কমিটি গঠন করতে বলেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। কমিটিকে আগামী ২০ আগস্টের মধ্যে কমিশনে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। রংপুরে ডাক্তার দেখাতে গেলে রোগীর স্বজনকে লাথি মারেন চিকিৎসক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন সংবাদ আমলে নিয়ে স্বপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমটো) গ্রহণ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। গতকাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইউশা রহমান জানান, কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত সুয়োমোটো আদেশনামার বিষয়বস্তুতে উল্লেখ করা হয়, রংপুরে রোগীর স্বজনের পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ওই চিকিৎসকের নাম সুকুমার মজুমদার। তিনি রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। নিয়মিত রোগী দেখেন পপুলার-২ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।
ভুক্তভোগীর নাম ছালমা বেগম। বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে। গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যায় ঘটে যাওয়া ওই ঘটনার বিবরণ দিয়ে ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘আমার চাচা দীর্ঘ দিন ধরে গুরুতর অসুস্থ। ১৪ দিন আগে তাকে নিয়ে ডা: সুকুমার মজুমদারকে দেখাই। এ সময় তিনি প্রেসক্রিপশন দিয়ে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করাতে বলেন। দুই সপ্তাহ পরও চাচার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পপুলার-২ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিয়ে আসি ডা: সুকুমার মজুমদারকে দেখাতে।
কিন্তু চাচার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়া সত্ত্বেও তিনি সিরিয়াল দিচ্ছিলেন না। এক পর্যায়ে আমার চাচা নিঃশ্বাস নিতে পারছিলেন না। শেষে আমি ডাক্তারের রুমে গেলে উনি কোনো কিছু বলার আগেই আমার পেটে লাথি মারেন। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
নারীকে লাথি মারার ব্যাপারে জানতে চাইলে ডা: সুকুমার মজুমদার বলেন, ‘ওই নারী জোর করে চেম্বারে ঢোকার চেষ্টা করলে আমার সহকারী তাকে বাধা দেন। পরে জোর করে চেম্বারে ঢোকে। এতে রেগে গিয়ে আমি তাকে ধাক্কা দিই। তার পেটে লাথি মারার অভিযোগ মিথ্যা। তবে যেহেতু আমি তাকে রেগে গিয়ে ধাক্কা মেরেছি সে জন্য তার কাছে ক্ষমা চেয়েছি। ভবিষ্যতে যেন এমন না হয় এ ব্যাপারে সতর্ক থাকব।’

 


আরো সংবাদ



premium cement