১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

কুলাউড়াকে বন্যা দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি

-

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বেগম রোকেয়া কল্যাণ ট্রাস্টের প্রধান পরিচালক এম আতিকুর রহমান আখই। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের এক অভিজাত রেস্টুরেন্টে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সাংবাদিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উপস্থিতিতে কুলাউড়াকে ‘বন্যাদুর্গত’ এলাকা হিসেবে ঘোষণা ও দ্রুত ত্রাণ সরবরাহের দাবি জানিয়ে বন্যার্তদের পুনর্বাসনে ৭ দফার সুপারিশ করা হয়।
মতবিনিময় সভায় ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আখই লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ১৭ জুন থেকে কুলাউড়ার ৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার তিনটি ওয়ার্ড বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ওই সব এলাকায় হাকালুকি হাওর এবং পার্শ্ববর্তী জুড়ী নদীর পানি প্রবেশ করায় প্লাবিত হয়। ফলে পানিবন্দী হয়ে রয়েছে এখানকার লক্ষাধিক মানুষ।

তিনি বলেন, কুলাউড়ার প্রায় ৭০ ভাগ মানুষ আজ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পানিবন্দী। নিজেদের ভিটামাটি ছেড়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রসহ নিজেদের বাড়িতেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঘরের ভেতর পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। পানিবন্দী এ সমস্ত মানুষের মধ্যে অনেকেই অনাহারে -অর্ধাহারে জীবনযাপন করছেন। দীর্ঘ ২০ দিন থেকে মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় থাকলেও সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত যে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। সরকারি হিসাব মতে, এ পর্যন্ত ১৬ হাজার পরিবারের মধ্যে ১০ কেজি করে চাল ও ১১ শতাধিক পরিবারের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, মাত্র ১০ কেজি চাল দিয়ে কী পাঁচ থেকে সাতজনের একটা পরিবার ১৫ থেকে ২০ দিন চলতে পারে?


আরো সংবাদ



premium cement