ইউনানী ও আয়ুর্বেদ চিকিৎসা পদ্ধতিকে ‘ট্রাডিশনাল মেডিসিন’ অভিহিত করার দাবি প্রাচির
- ০৬ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
বাংলাদেশে ইউনানী ও আয়ুর্বেদ চিকিৎসা পদ্ধতিকে ‘অল্টারনেটিভ মেডিসিন’ এর পরিবর্তে ‘ট্রাডিশনাল মেডিসিন’ বলে অভিহিত করার দাবি জানিয়েছে প্রাচীন চিকিৎসা উন্নয়ন প্রচেষ্টা- প্রাচি। একই সাথে ৫ জুলাই কে জাতীয় ইউনানী ও আয়ুর্বেদ দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এসব দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা ও উপস্থিত চিকিৎসকরা।
প্রাচির জাতীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের জাতীয় কার্যকরী কমিটির সভাপতি ডা: সালেহ মোহাম্মদ আবদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাকীম মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ও কবিরাজ আবদুল মোতালেব মতিন প্রমুখ। চিরায়ত চিকিৎসাব্যবস্থার বিশ্লেষণ ও বাস্তবায়নের দিকনির্দেশনা সংবলিত প্রাচির কার্যপত্র উপস্থাপন করেন সংগঠনটির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং মুখপাত্র মোখলেসুর রহমান।
মতবিনিময়কালে চিকিৎসকরা বলেন, ইউনানী ও আয়ুর্বেদ কলেজগুলোর সাথে ১০ শয্যার হাসপাতাল স্থাপন করা জরুরি। হাসপাতাল না থাকার কারণে বিশাল জনগোষ্ঠী এই দুই চিকিৎসা পদ্ধতির সুফল লাভ হতে বঞ্চিত হচ্ছে। এ ছাড়া আমাদের ইউনানী ও আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের ইন্টার্নশিপ করতে হয় এলোপ্যাথিক হাসপাতালে। এ বিষয়ে সরকারের কোনো নজর নেই, পৃষ্ঠপোষকতা নেই, রয়েছে চরম অবহেলা।
আমাদের এ ধরনের হাসপাতাল না থাকলেও পাশের দেশ ভারতেই বিশ্বমানের চক্ষু, দাঁত ও ক্যান্সারের বিশেষায়িত হাসপাতাল রয়েছে।
প্রাচি মনে করে বাংলাদেশে অন্তত একটি পাবলিক ইউনানী ও আয়ুর্বেদ বিশ্ববিদ্যালয় থাকা উচিত।
সেইসাথে এই শিক্ষার মান নির্ধারণও জরুরি। চিকিৎসকরা দাবি করেন বাংলাদেশ ড্রাগ অ্যান্ড কসমেটিক অ্যাক্ট ২০২৩ এলোপ্যাথি চিকিৎসার জন্য সঠিক হলেও ইউনানী ও আয়ুর্বেদের জন্য এটি প্রযোজ্য হতে পারে না। আলোচ্য আইনটি পাশের পূর্বে এই দুই চিকিৎসা পদ্ধতির মৌলিক রীতিনীতি মেনে তা চূড়ান্ত করা একান্ত আবশ্যক বলে প্রাচি মনে করে। একইসাথে জাতীয় ইউনানী ও আয়ুর্বেদ ফর্মুলারি নতুন করে প্রণয়নের দাবি জানায় সংগঠনটি। বিজ্ঞপ্তি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা