১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ভিপি নুরের আদালত অবমাননার রায় ১১ জুলাই

-

ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ নিয়ে জারি করা রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। বুধবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আলজলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে রায়ের জন্য আগামী ১১ জুলাই দিন ধার্য করেছেন। শুনানিতে ভিপি নুরের দণ্ড কিংবা প্রতীকী হলেও শাস্তির দাবি করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
আদালতে ভিপি নুরের পক্ষে শুনানি করে সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সাথে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো: মাকসুদ উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান। গতকাল আদালতে উপস্থিত হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে নিঃশর্ত ক্ষমা চান ভিপি নূর। এরপর উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রায়ের জন্য ১১ জুলাই দিন ধার্য করেন। শুনানির শুরুতে আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, আমরা নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছি। এজন্য আজকে কোনো কনটেস্টে যেতে চাচ্ছি না।
তিনি আরো বলেন, নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে এবারই প্রথম আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছে। ভবিষ্যতে আদালত নিয়ে বক্তব্য দেয়ার ক্ষেত্রে তিনি আরো সচেতন থাকবেন বলে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন করেছেন। আদালতে শুনানি শুরু হওয়ার আগেই নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। আমরা ক্ষমা প্রার্থনার দুটি আবেদন দিয়েছি। শুনানির একপর্যায়ে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি নুরুল হক নুরকে ডায়াসের কাছে ডেকে আনেন।

কোর্ট তাকে জিজ্ঞেস করেন আপনি কি ২৮ অক্টোবরের আগে বক্তব্য দিয়েছেন। না এরপর বক্তব্য দিয়েছেন। নুর বলেন- না এর পরে বক্তব্য দিয়েছি। তখন আদালত বলেন, একজন সচেতন রাজনীতিবিদ হিসেবে এ রকম বক্তব্য দেয়ার পর দিন গণমাধ্যমে সংশোধনী কেন দিলেন না।
নুরুল হক বলেন, আমি ওই দিন জ্ঞাতসারে বক্তব্য দেইনি। আমার বক্তব্যের জন্য আমি অনুতপ্ত। গণতান্ত্রিক দেশে আইন-আদালত থাকতে হবে। আর আদালতের প্রতি আমার সবসময় শ্রদ্ধা আছে এবং তা ভবিষ্যতেও থাকবে। তখন আদালত নুরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, একজন রাজনীতিবিদের কথায় কাজে সচেতনতা থাকা জরুরি। আদালত মর্যাদা রক্ষা সব নাগরিকের দায়িত্ব। রাজনীতিবিদের কথায় উসকানি থাকলে তার বিরূপ প্রভাব সাধারণ মানুষ বা কর্মীর মধ্যে পৌঁছে যায়। এ বিষয়ে সবার সতর্ক থাকা দরকার।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাজী মাইনুল হক আদালতকে বলেন, উনি (নুর) আজ অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চাচ্ছেন। তবে উনার বক্তব্যের মাধ্যমে বিচার বিভাগের যে ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে গেছে। ওনি ক্ষমা চাইলেও ওনার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া সমাজে পড়েছে। তাই তার সাজা হওয়া প্রয়োজন। অন্তত মিনিমাম প্রতীকী হলেও একটা দণ্ড দেয়া হোক। এটা রেকর্ড হিসেবে থাকুক। এতে সমাজে একটা বার্তা যাবে। রাষ্ট্রপক্ষ এটাই চাচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement
অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের দুর্বল হওয়া ভারতের জন্য কতটা উদ্বেগের তিন জেলায় বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় ‘উদ্বিগ্ন’ জাতিসঙ্ঘ দ.কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউনের অভিশংসন কি অনিবার্য? লক্ষ্মীপুরে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নারী নিহত আবারো ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান তারেক রহমানের ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের ষড়যন্ত্র জাতীয় ঐক্য সুদৃঢ় করেছে : জামায়াত আমির ছবির প্রিমিয়ার শোতে নারীর মৃত্যু, নায়ক গ্রেফতার ভারতের সাথে রাজনৈতিক মেঘ কেটে গেছে : উপদেষ্টা রিজওয়ানা সিরিয়ার বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষার আহ্বান : ব্লিঙ্কেন

সকল