এপ্রিল মাসে ৪.৫৭ কোটি টাকা জরিমানা আদায়
- বিশেষ সংবাদদাতা
- ২৮ জুন ২০২৪, ০০:০৫
রেলওয়ের টিকিট কালোবাজারি রোধসহ টিকিটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থে বর্তমানে ব্যাপক চেকিং ব্যবস্থা চালু রয়েছে। শুধু চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই রেলওয়ের উভয়াঞ্চলের চেকিংয়ে বিনা টিকিটের যাত্রীদের কাছ থেকে চার কোটি ৫৭ লাখ ১৭ হাজার ৩৮৯ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী মো: জিল্লুল হাকিম। চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ রেলওয়েতে সিগন্যাল সিস্টেমের কোনো প্রকার ত্রুটির কারণে এখন পর্যন্ত কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের এবং চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের পৃথক পৃথক প্রশ্নের জবাবে রেলপথ মন্ত্রী এ তথ্য জানান। প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।
রেলপথ মন্ত্রী জানান, টিকিট কালোবাজারি রোধে বাংলাদেশ রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোয় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম প্রতিরোধ করা হচ্ছে। টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে বাংলাদেশ রেলওয়ের উভয়াঞ্চলের বিভিন্ন ট্রেনে নিয়মিতভাবে টিকিট চেকিং করা হচ্ছে। নিয়মিত চেকিংয়ের বাইরেও ব্লক চেকিং ও স্পেশাল চেকিং পরিচালিত হয়। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে রেলওয়ের উভয়াঞ্চলে চেকিং কার্যক্রমের সংখ্যা এক হাজার ৬৩৩টি, কেইস সংখ্যা-দুই লাখ ৯ হাজার ৩৪৬টি এবং আদায়করা ভাড়া ও জরিমানার পরিমাণ চার কোটি ৫৭ লাখ ১৭ হাজার ৩৮৯ টাকা। এ ছাড়া রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটরা বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণ প্রতি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের অপর এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, বর্তমানে রেলওয়ের ১২১টি স্টেশন সিগন্যাল কম্পিউটার বেইজ ইন্টারলকিং সিস্টেম এ পরিচালিত হচ্ছে। দুর্ঘটনা পরিহারে যেকোনো জরুরি অবস্থায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রেন থামানোর জন্য অটোমেটিক ট্রেন স্টপ (এটিএস) প্রযুক্তি বাস্তবায়ের কাজ চলমান রয়েছে।
মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/জন্মনিবন্ধন ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কাউন্টার অথবা অনলাইন/মোবাইল অ্যাপ যেকোনো মাধ্যম থেকে টিকিট কাটার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/জন্মনিবন্ধন সনদ যাচাই ব্যতিরেকে কোনো যাত্রীই টিকিট সংগ্রহ করতে পারে না। কাউন্টার অথবা অনলাইন/মোবাইল অ্যাপ যেকোনো মাধ্যম থেকে টিকিট সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সার্ভার থেকে যাত্রীর এনআইডি ভেরিফিকেশন করা হয় এবং ইস্যুকৃত টিকিটের ওপর সংশ্লিষ্ট যাত্রীর এনআইডি নাম্বার ও নাম মুদ্রিত থাকে। যাত্রীর ক্রয় করা টিকিট যাতে হস্তান্তর না হয়, সে জন্য চলন্ত ট্রেনে টিটিইরা টিকিটের ওপর মুদ্রিত যাত্রীর নাম, মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/জন্মনিবন্ধনের সাথে যাত্রীর কাছে থাকা পরিচয়পত্র/জন্মনিবন্ধন নাম্বার ও যাত্রীর নাম মিলিয়ে দেখা হয়ে যদি টিকিটের তথ্যের সাথে যাত্রীর নিকট থাকা পরিচয়পত্র/জন্মনিবন্ধন নাম্বার ও যাত্রীর নামে গরমিল পাওয়া যায়, তা হলে যাত্রীকে বিনা টিকিটের যাত্রী হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে ভাড়া জরিমানা আদায় করা হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা