১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

চাঁদপুরে ডিপোর লরি থেকে চোরাই পথে তেল বিক্রি

-

চাঁদপুরে ট্যাংক লরি শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে বিভিন্ন ডিপোর লরি থেকে সড়কের মোড়ে মোড়ে বিক্রি হচ্ছে অবৈধ জ্বালানি তেল। এতে করে নিজ ক্রয়ের নির্দিষ্ট তেল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রকৃত ডিলাররা। যদিও ট্যাংক লরির চালক ও হেলপারের মাধ্যমে এসব চোরাই তেল বিক্রি হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, এর পেছনে রয়েছে চাঁদপুর ট্যাংক লরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ অন্য নেতৃবন্দরা। কয়েক বছর ধরেই চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে এমন অবৈধ তেল বিক্রি হয়ে আসছে। শুধু সড়কের বিভিন্ন স্থানেই নয়, লরি, ভাউচার থেকে এমন চোরাই তেল রাখছেন ডিপোর কাছে থাকা শ্রমিকরাও। গত কয়েক মাস ধরে অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, চাঁদপুর শহরের পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ডিপুতে যখন কোনো ভাউচারে তেল ভর্তি করে ডিপোর গেট থেকে বের হন। তখনই ভাউচারের চালক ও হেলপাররা পাইপ দিয়ে বিভিন্ন সাইজের গ্যালনে তেল নামিয়ে সেগুলো মজুদ করে অন্যত্র বিক্রি করে। এ ছাড়া চালকরা সড়কের পথে পথে বিভিন্ন স্থানে খুচরা তেল বিক্রেতাদের কাছে ৩০ লিটারও ৫০ লিটার করে বিভিন্ন জ্বালানি তেল বিক্রি করে থাকেন। গত কয়েক বছর ধরে দেখা গেছে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমারডুগি এলাকায় থাকা রাসেদ গাজী ট্রেডার্স নামে একটি তেলের দোকানে প্রতিদিনই দিনের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাউচার থেকে পাইপ দিয়ে জ্বালানি তেল নামানো হচ্ছে। তালিকাভুক্ত ডিলার না হয়েও প্রতিনিয়ত ভাউচার থেকে তেল নামাচ্ছেন রাসেদ ট্রেডার্সের মালিক।
খবর নিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিন বিভিন্ন সময়ে যমুনা ডিপোর ভাউচারসহ বিভিন্ন তেলের গাড়ি থেকে শত শত লিটার তেল ক্রয় করছেন ওই দোকানি। চাঁদপুর শহরের অতি কাছে এমন অবৈধ তেল নামলেও নজরে পড়ছে না প্রশাসনের।
শুধু তাই নয়, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, বাগাদী, নানুপুর, বহরিয়াসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিনই তেলের ভাউচার থেকে বিক্রি হচ্ছে অবৈধ তেল।
জানা যায়, চাঁদপুর, কুমিল্লা নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর মিলিয়ে যমুনা ডিপোর তালিকাভুক্ত সর্বমোট ৫৭ জন ডিলার রয়েছে। এর মধ্যে চাঁদপুরের ছয়জন ডিলার। কিন্তু কুমার ডুগী এলাকায় যমুনা ডিপোর গাড়ি থেকে রাসেদ ট্রেডার্স নামে যে ব্যবসায়ী প্রতিদিন অবৈধ তেল ক্রয় করছেন। তালিকাভুক্ত ছয়জন ডিলারের তালিকায় তার নামটি নেই। তালিকাভুক্ত ডিলার না হয়েও প্রতিদিন ডিপোর গাড়ি থেকে অবৈধ তেল ক্রয় করছেন ওই ব্যবসায়ী। চাঁদপুরে সড়কের পথে পথে এমন অবৈধ তেল বিক্রি হওয়ার কারণে নিজেদের মূল চালান থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রকৃত ডিলারগণ।
এ বিষয়ে যমুনা ডিপো ইনচার্জ শরীফুল ইসলামসহ পদ্মা মেঘনা ডিপোর ইনচার্জরা বলেন, আমাদের এখান থেকে তারা তেল বুঝে নেয়ার পর তারা কি করে সেটা আমাদের বিষয় নয়। চালকরা যদি এভাবে বিভিন্ন স্থানে তেল বিক্রি করে থাকে তাহলে তো সেটা সম্পর্ণ অবৈধ।
যমুনা ডিপোর দায়িত্বে থাকা চাঁদপুর, কুমিল্লা নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুরের মার্কেটিং অফিসার সাইফুর রহমানের সাথে বলেন, চাঁদপুর, কুমিল্লা নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুরে আমাদের তালিকাভুক্ত ডিলার মোট ৫৭ জন। এরমধ্যে চাঁদপুরে ছয়জন। তবে কুমার ডুগী এলাকার যে রাসেদ ট্রেডার্সের নাম বলেছেন। সে নামটি আমাদের ডিলারের তালিকায় নেই।


আরো সংবাদ



premium cement