দ্রুততার সাথে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য : প্রধান বিচারপতি
- নাটোর প্রতিনিধি
- ২৬ জুন ২০২৪, ০১:৪১
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, দ্রুততার সাথে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আকাক্সক্ষা থেকে এই লক্ষ্য অর্জনে কাজ করছি আমরা। তিনি আরো বলেন, সামাজিকভাবে আমরা যদি সচেতনতা বাড়াই তা হলে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মামলা হবে না। তা হলে মামলা দিন দিন কমে যাবে। প্রধান বিচারপতি গতকাল মঙ্গলবার সকালে নাটোর জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নবনির্মিত বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন শেষে নাটোর জেলা আইনজীবী সমিতি আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, একজন বিচারপ্রার্থী যখন আদালতে আসেন, তখন সবার প্রথমে একজন আইনজীবীর সাহায্য খোঁজেন। বিচারপ্রার্থীরা আইনের জটিলতা বোঝেন না, সেটি বোঝা তাদের পক্ষে সম্ভবও নয়। তারা পরম নির্ভরতায় আইজীবীর ওপর সম্পদ ও স্বাধীনতা রক্ষার গুরুভার অর্পণ করেন। আইন পেশার শত বছরের সুনাম ও ঐতিহ্যই তাদের এই নির্ভরতার কারণ। এই নির্ভরতার সম্পর্ক আপনাদের জন্য একটি আমানত। এই আমানত রক্ষা করার দায়িত্ব প্রত্যেক আইনজীবীর। আমি বিশ্বাস করি, পেশাগত দায়িত্ব সুচারুরূপে সম্পাদনের মাধ্যমে আইনজীবীরা এই আমানত সর্বদাই রক্ষা করে চলবেন।
তিনি বলেন, আইন পেশা যেকোনো সমৃদ্ধ গণতন্ত্রের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে, যার ওপর গড়ে ওঠে আধুনিক সমাজের সুবিন্যস্ত কাঠামো। আর এই সমাজের সদস্যদের জন্য সমতা ও ন্যায়বিচারের প্রত্যাশাস্থল হিসেবে নিয়োজিত থাকেন আইনজীবীরা। তাই আমাদের মনে রাখতে হবে, একজন আইনজীবীর সততা কেবল তার মক্কেলের প্রতি নয়, তার সততা ন্যায়বিচারের প্রতি। তাই ন্যায়ভিত্তিক কল্যাণকর সমাজ বিনির্মাণের মধ্য দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আইনজীবীদেরকে আরো নিষ্ঠাবান ও কর্তব্যপরায়ণ হতে হবে।
প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, বার ও বেঞ্চের মধ্যে আন্তরিক সম্পর্কের জন্য পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ খুবই জরুরি। বার ছাড়া আদালত চলে না, আবার আদালত ছাড়া বারেরও মূল্য নেই। বার যদি আদালতকে শ্রদ্ধা না করে বা আদালত যদি বারকে মূল্যায়ন না করে, তাহলে দু’পক্ষই সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো: রুহুল কুদ্দুস বলেন, জনগণকে সাংবিধানিকভাবে দেশের মালিকানা প্রদান করা হয়েছে। আইনজীবী ও বিচারকরা তাদের উপলব্ধির জায়গা থেকে বাস্তবজীবনে সাংবিধানিক এই ধারাকে সমুন্নত রাখবেন বলে আশা করি। জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু আহসান টগরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ অম্লান কুসুম জিষ্ণু। গণপূর্ত বিভাগ ৪৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ‘ন্যায়কুঞ্জ’ নির্মাণকাজ শেষ করেছে। ৭২ ব্যক্তির আসনবিশিষ্ট এই বিশ্রামাগারে নারী ও পুরুষের পৃথক টয়লেট ছাড়াও ব্রেস্ট ফিডিং সেন্টার রয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা