নারায়ণগঞ্জ সদরের কয়েকটি এলাকায় ২ মাস ধরে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ
- নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
- ২০ জুন ২০২৪, ০০:২০
নারায়ণগঞ্জ সদরের ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জের বেশ কিছু এলাকায় গত দুই মাস ধরে গ্যাস সরবরাহ একেবারেই বন্ধ রয়েছে। গ্যাসের অভাবে চরম ভোগান্তিতে পড়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন লক্ষাধিক মানুষ। তবে নানা অজুহাত ও সমস্যার কথা জানিয়ে অচিরেই স্বাভাবিক নিয়মে গ্যাস সরবরাহের আশ্বাস দিয়েছেন তিতাসের উপব্যবস্থাপক।
জেলা সদরের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার জালকুড়ি এলাকার গৃহিণী সোমা বিবি প্রতি মাসে নিয়মিত গ্যাস বিল পরিশোধ করেও গত ছয় মাস ধরে নিরবিচ্ছিন্নভাবে গ্যাস পাচ্ছেন না। এর মধ্যে গত ২ মাস ধরে গ্যাস সরবরাহ একেবারেই বন্ধ রয়েছে। ফলে লাকড়ি ও ঝুট কিনে মাটির চুলায় রান্না করে অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হচ্ছে তাকে। একই অভিযোগ করেছেন পাশের বাড়ির গৃহিণী হাজেরা আলমের। জালকুড়ি ছাড়াও সিদ্ধিরগঞ্জের রব্বানিনগর, ঘোড়ামাড়া, মৌচাক, সানারপাড় এবং ফতুল্লার দেলপাড়া, কুতুবপুর, পাগলা ও নয়ামাটিসহ অন্তত ২০টি এলাকায় লক্ষাধিক মানুষ গত দুই মাস ধরে এই গ্যাস সঙ্কটে ভুগছেন। বাধ্য হয়ে বাড়তি খরচ করে মাটির চুলা, ইটের চুলা ও টিন দিয়ে বানানো চুলায় রান্নাবান্না করছেন এসব এলাকার গৃহিণীরা। আসন্ন ঈদুল আজহার কোরবানির পশুর রান্নাবান্না কিভাবে করবেন এই নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন পরিবারগুলো।
নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের দাবিতে ভুক্তভোগী গ্রাহক ও বাসিন্দারা গত এক মাস ধরে একাধিকবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ, তিতাস অফিসে স্মারকলিপি প্রদান ও বিক্ষোভ সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করলেও এর কোনো সমাধান হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ঈদের আগে গ্যাস সরবরাহ করতে সরকারের কাছে জোর দাবি করছেন তারা।
তবে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে একটি এলএনজি টার্মিনাল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জাতীয় সমস্যার কারণে এই গ্যাস সঙ্কটের কথা জানান তিতাসের নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক বিপণন ডিভিশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো: আনিসুর রহমান।
তিনি বলেন, একটা এলএনজি দিয়ে চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। তবে আমরা আশা করছি, ঈদের আগেই আবাসিক গ্রাহকদের গ্যাসের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
যেহেতু ঈদের ছুটিতে সব শিল্প কারখানা বন্ধ থাকবে, তাই এই সেক্টরের বিপুল পরিমাণ গ্যাস আবাসিক গ্রাহকরা পেয়ে যাবেন। ঈদ এবং কোরবানির পশু রান্নাবান্না নির্বিঘেœ করতে পারবেন তারা।
তিতাসের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, এ ছাড়াও ঈদের ছুটির মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত এলএনজি টার্মিনালটির মেরামত কাজ শেষ হয়ে যাবে।
দুটোই একসাথে চালু হয়ে গেলে ঈদের পরও আবাসিক গ্রাহকদের গ্যাস সঙ্কট আর থাকবে না। অচিরেই নিরবিচ্ছিন্নভাবে গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে বলে আমরা আশাবাদী
নারায়ণগঞ্জ তিতাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জেলায় আবাসিক, শিল্প ও বাণিজ্যিকসহ সব পর্যায়ের গ্রাহকদের প্রতিদিন ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। এর বিপরীতে বর্তমানে ৭৩৯.৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা