সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল চাঁদপুরের ৩ যুবকের
- চাঁদপুর প্রতিনিধি
- ১৫ জুন ২০২৪, ০০:০৫
সৌদি আরবের সড়ক দুর্ঘটনায় চাঁদপুরের তিন রেমিট্যান্স যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের আফিফ শহরের বিশ্ব রোডে দুই মাইক্রোবাস মুখোমুখি সংঘর্ষের এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, চাঁদপুরের হাইমচরের উপজেলার কমলাপুর গ্রামের রিফাত ও দক্ষিণ আলগী গ্রামের সাব্বির এবং ফরিদগঞ্জ উপজেলার কন্ট্রাক্টর সবুজ হোসেন।
পরিবারের দাবি, সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে দ্রুত তাদের লাশ দেশে আনার ব্যবস্থা করা হোক।
হাইমচর উপজেলার দক্ষিণ আলগী দুর্গাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জল্লিুর রহমান মাস্টার নয়া দিগন্তকে জানান, তার ইউনিয়নের দু’জন ও পার্শ্ববর্তী ফরিদগঞ্জ উপজেলার একজনসহ মোট তিনজন সড়ক দুর্ঘটনায় সৌদি আরবে মারা গেছেন। শুক্রবার সকালে সরেজমিন হাইমচর রিফাতের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, স্বজন হারানোর শোকে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারে সদস্যরা। চার বছর আগে সৌদি আরব পাড়ি দেয়া রিফাত ঈদের পর দেশে আসার কথা ছিল। রিফাতের বাবা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ছেলে দেশে আসার কথা। নতুন আকামা করবে। কত স্বপ্ন ছিল। সব শেষ হয়ে গেল। ছেলের শোক কিভাবে সইবো।’ দুর্ঘটনায় নিহত আরেক যুবক সাব্বির হোসেন। তিনি রিফাতের খালাতো ভাই। তারা কন্ট্রাক্টর সবুজ হোসেনের সাথে কনস্ট্রাকশনের কাজ করত। সাব্বিরের বাবা ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘কোন টাকা পয়সা চাই না। ছেলেটারে দেখতে চাই। নিজের হাতে দাফন করবো।’
মাত্র দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তানকে সৌদি আরবে নেয় কন্ট্রাক্টার সবুজ হোসেন। তিনি দীর্ঘ দিন সৌদি প্রবাসী। নিজেই গাড়ি ড্রাইভ করে বাসায় ফেরার পথে দুর্ঘটনায় কবলিত হন। তার বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১২ নং পশ্চিম চরদুখিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম বিশ কাটাখালী গ্রামে। মা-বাবা ও চার ভাই-বোনের সংসার। মৃত্যুর খবরে চলছে শোকের মাতম।
সবুজের বাবা জামাল ফকির সরকারের কাছে সন্তানকে দেশে আনার প্রক্রিয়া করার আহবান জানিয়ে বলেন, ‘১৮ বছর ছেলে বিদেশ করে। দুই নাতিন আর বউমাকে নিয়ে গেছে। এখন তো আমাকে পরিবারের আলোর প্রদীপ আর নেই। কে দেখাশোনা করবে এত বড় পরিবারের।’ হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা নাজনীন তিশা বলেন, ‘পরিবারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা চাওয়া হলে তাদের লাশ দেশে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা