১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সারা দেশে কত রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে জানতে চান হাইকোর্ট

-

সারা দেশে কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে জানতে চেয়ে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে করা রিট আবেদনের শুনানি শেষে আগামী ৮ আগস্টের মধ্যে সারা দেশে কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সে বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বিবাদীদের নির্দেশনা দিয়েছেন।
রিটে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ সংশ্লিষ্ট ১৭ জনকে বিবাদি করা হয়েছে।
আদালতে রিটকারীর পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।

আইনজীবীরা জানান, ২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবর একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনে ভোটার তালিকায় ৩৫ জন রোহিঙ্গার বিষয়ে সত্যতা পাওয়া যায়। এতে কক্সবাজার ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের জড়িতদের প্রমাণ পাওয়া যায় এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছেন। কিন্তু এসব রোহিঙ্গাকে নাগরিকত্ব দেয়া সংক্রান্ত কাগজপত্র বাতিল করে তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয়ার জন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এসব রোহিঙ্গাদের ভোটার রেখেই ওই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। এ অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ হামিদ হাইকোর্টে রিট করেন।
রিটের শুনানি শেষে গত ২৪ এপ্রিল একই আদালত বিবাদীদের প্রতি ৪ সপ্তাহের রুল জারি করেন। একই সাথে ভোটার তালিকা থেকে তদন্তে প্রমাণিত রোহিঙ্গাদের নাম বাদ দেয়ার জন্য এবং আগামী ৬ জুনের মধ্যে কক্সবাজার জেলায় কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে তা তদন্তপূর্বক একটি প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য বিবাদীদের নির্দেশনা দেন।
আইনজীবী ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া জানান, এখনো আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ওই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়নি। এর মধ্যে সারা দেশের ভোটার তালিকায় কতজন রোহিঙ্গা অন্তর্ভুক্ত আছে তা দাখিলের নির্দেশনা চেয়ে গত সোমবার সম্পূরক আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের শুনানি শেষে আগামী ৮ আগস্টের মধ্যে এ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন হাইকোর্ট।

 


আরো সংবাদ



premium cement