১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

উখিয়ায় স্টেডিয়ামের নামে উচ্ছেদ না করার আবেদন ২৮ ভূমিহীন পরিবারের

-

শেখ রাসেল স্টেডিয়াম তৈরির জন্য উচ্ছেদ না করার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহায্য চেয়েছেন অসহায় ভূমিহীন ২৮টি পরিবার।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের পক্ষে মো: ইমরান হোসেন জানিয়েছেন, কোনো জমি না থাকায় তারা ভূমিহীন অসহায় ২৮টি পরিবার উখিয়া থানাধীন ৪ নম্বর রাজাপালং ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের টিঅ্যান্ডটি গুচ্ছগ্রামের দক্ষিণ পাশে পাহাড়ি বনভূমি আবাদ ও খরিদ করে দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে পরিবার পরিজন নিয়ে গৃহনির্মাণ করে বসবাস করছেন। তারা যার যার দখলীয় বসতভিটায় দেশীয় ফলদ আম, কাঁঠাল, সুপারি, নারকেল ও বনজ গাছ রোপণ করে এবং বাড়ির আঙ্গিনায় পতিত জমিতে শাকসবজি আবাদ করেন। সেখানে ২টি মুরগির ফার্মও আছে এবং গোয়ালঘর ও গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি পালন করে জীবিকা নির্বাহ করেন।

তিনি জানান, উখিয়া ডিগ্রি কলেজের মাঠে আমাদের অতীতে বসতভিটা ছিল। সে সময়ের এমপি শাহজাহান চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অধ্যক্ষ এম ফজলুল করিমসহ আমাকে বর্তমান বসতভিটা দিলে আমি কলেজের জন্য জমি ছেড়ে দিই এবং বর্তমান বসতভিটায় ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছি।
আমাদের একমাত্র বসবাসের ভিটায় স্টেডিয়াম করার নামে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় একটি সাইনবোর্ড দিয়ে গত বছরের ১ অক্টোবর ৪০-৪৫ জন এসে দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী কায়দায় বসতভিটায় ঢুকে ফলদ ও বনজ বিভিন্ন প্রজাতির পাঁচ শতাধিক গাছ কেটে ফেলে এবং সবজি ক্ষেতসহ ১০ লাখ টাকার ক্ষতি করে।

পরে বিষয়টি উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানালে তিনি ও এসিল্যান্ড উখিয়া ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় বিবাদিরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। বর্তমানে আমাদের এই বসতভিটা ছাড়া বসবাসের আর কোনো জায়গা নেই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছেন। কিন্তু আমরা তো বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা, আমাদের কেন উচ্ছেদ করা হচ্ছে। আমরাও চাই শেখ রাসেলের নামে স্টেডিয়াম হোক। কিন্তু আমাদেরকে যেন থাকার একটা ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। নতুবা আমাদের যেন এখান থেকে উচ্ছেদ না করা হয়। এ বিষয়ে আমরা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় একটি আবেদনও দিয়েছে, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া এ দেশে কেউ কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারে না, তাই প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যাতে তিনি আমাদের একটা ব্যবস্থা করে দেন। বসতভিটা ছেড়ে না গেলে আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়েছে। বর্তমানে আমরা জীবননাশের আশঙ্কায় আছি। বিজ্ঞপ্তি।


আরো সংবাদ



premium cement