১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

দাবি না মানলে কৃষিগুচ্ছ পরীক্ষা বন্ধের হুমকি

-


প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সাথে একাত্মতায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শিক্ষক সমিতি আগামী ২৫ থেকে ২৭ জুন অর্ধদিবস ও ৩০ জুন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করবে। এরপরও দাবি আদায় না হলে পয়লা জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালিত হবে। এ দিকে ২০ জুলাই কৃষিগুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে; কিন্তু দাবি না মানলে এবং আন্দোলন চলমান থাকলে না হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হবে এ বছরের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা। সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সুপার গ্রেড কার্যকর এবং স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে এসব কথা বলেন বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. তানভীর রহমান। গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কমপ্লেক্সে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাকৃবি শিক্ষক সমিতি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: রফিকুল ইসলাম সরদারসহ শিক্ষক সমিতির অন্য নেতৃবৃন্দ। ড. তানভীর রহমান আরো বলেন, এই প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়িত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রম পিছিয়ে পড়বে এবং দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির ক্ষেত্র সঙ্কুচিত হবে। এটি আগামী দিনের তরুণ সমাজের স্বার্থরক্ষা তথা উচ্চশিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস ও জাতিকে মেধাশূন্য করার অপচেষ্টা। এটিকে আমাদের শিক্ষক সমাজ ও সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চক্রান্ত বলে দাবি করেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার স্বার্থে অনতিবিলম্বে এই বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বাকৃবি শিক্ষক সমিতি এককভাবে ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সাথে প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছে। গত মার্চ মাস থেকে বিভিন্ন সময় বিবৃতি প্রদান, মানববন্ধন, গণস্বাক্ষর সংগ্রহ, কালো ব্যাজ ধারণ, মৌন মিছিল, প্রতিবাদ সভা ও অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করে আসছে। দাবি আদায়ে সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে পয়লা জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করা হবে বলে জানান তিনি। এ সময় বন্ধ থাকবে সব ক্লাস-পরীক্ষা। এ সমসয় সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য সুপার গ্রেড কার্যকর ও স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিও জানানো হয়।
এ সময় বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: রফিকুল ইসলাম সরদার বলেন, আমরা কর্মবিরতির মধ্যেও বিভিন্ন পর্যায়ের ফাইনাল পরীক্ষা ও অনলাইন ক্লাস চলমান রেখেছি। আমরা কখনোই আমাদের আন্দোলনের জন্য শিক্ষার্থীদের ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাই না। সাময়িক এই ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া যাবে বলে আমরা আশা করি।


আরো সংবাদ



premium cement