১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বগুড়ায় ২৯ মামলার আসামি যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

সিএনজিচালকের লাশ উদ্ধার
-

বগুড়ার কাহালুতে যুবলীগ নেতা ও শীর্ষ সন্ত্রাসী বিরাজুল ইসলাম ওরফে ব্রাজিলকে (৪৩) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত শনিবার রাতে বগুড়ার কাহালু উপজেলার পোড়াপাড়া এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পুলিশের তথ্যমতে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, ছিনতাই, নাশকতা, সন্ত্রাসী, বিস্ফোরক দ্রব্য, বিশেষ ক্ষমতা আইন, চাঁদাবাজি ও অ্যাসিড নিক্ষেপসহ ২৯টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে বগুড়া সদর থানায় ২৬টি এবং কাহালু থানায় তিনটি। ব্রাজিল বগুড়া সদরের পালশা চৌকির পাড়ার শাজাহান আলীর ছেলে। সে কাহালু উপজেলার মুরইল ইউনিয়নের পোড়াপাড়ায় শ্বশুরবাড়ি এলাকায় বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছিলেন। অপর দিকে বগুড়া সদরে এক সিএনজিচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে ব্রাজিল তার এক সহযোগীকে সাথে নিয়ে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। পেড়াপাড়ার তালুকদার বাড়ি মোড়ে পৌঁছলে দুর্বৃত্তরা তাকে আক্রমণ করে। এ সময় ব্রজিল মোটরসাইকেল ফেলে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে কিন্তু দুর্বৃত্তরা তার পিছু ধাওয়া করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। কাহালু থানা অফিসার ইনর্চাজ সেলিম রেজা জানান, কী কারণে ব্রাজিলকে হত্য করা হয়েছে তা জানা যায়নি। তবে হত্যাকাণ্ডের কারণ ও হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারে পুলিশ তৎপরতা শুরু করেছেন।
এ দিকে রোববার বগুড়া সদরে কালভার্টের নিচে পানি থেকে সিএনজিচালকের লাশ উদ্ধার হয়েছে। নিহতের নাম সম্রাট ইসলাম। তার বয়স ৩৭ বছর। তিনি জেলার সোনাতলা উপজেলার চামুরপাড়া এলাকার মৃত আজিজার মোল্লার ছেলে। সম্রাট পেশায় অটোরিকশাচালক ছিলেন।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, সকাল ৮টার দিকে সদর উপজেলার সাবগ্রাম কুরশা এলাকায় দ্বিতীয় বাইপাস সড়কের একটি কালভার্টের নিচে পানির মধ্যে থেকে সম্রাটের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের স্ত্রী আকলিমা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী গতকাল বিকেল ৪টার দিকে তার অটোরিকশা নিয়ে বের হন। সন্ধ্যার পর কোন এক কারণে আমার শাশুড়ি সম্রাটকে ফোন দেয়। সে সময় সম্রাটের ফোন অপরিচিত একজন রিসিভ করে বলে রং নম্বর। এরপর থেকে সম্রাটের সাথে আর যোগাযোগ করা যায়নি। পরে সকালে লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ছবি দেখে সম্রাটকে শনাক্ত করি।’ বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, আমরা নিহতের পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি সম্রাট অটোরিকশাচালক ছিলেন। লাশ উদ্ধারের সময় তার অটোরিকশা পাওয়া যায়নি। আমরা ধারণা করছি- এটা হত্যাকাণ্ড। আমরা তদন্ত শুরু করেছি। কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড এবং কারা জড়িত তা পরে জানাতে পারব।


আরো সংবাদ



premium cement