জমি দখল-কিশোর গ্যাং বরদাশত করা হবে না : মেয়র তাপস

জমি দখল ও কিশোর গ্যাং বরদাশত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। গতকাল রোববার নগরভবন প্রাঙ্গণে মিরনজিল্লা পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাসের বাসা বরাদ্দপত্র ও চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কঠোর হুঁশিয়ারি দেন।
মেয়র তাপস বলেন, ‘মিরনজিল্লায় যে কাঁচাবাজার রয়েছে, সেটি ২০১৬ সালে পুনর্নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। প্রায় আট বছর পর আমরা সেটি বাস্তবায়নে যাচ্ছি। এ প্রসঙ্গে আমি আপনাদের বলতে চাই, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কোনো জমি কোনো ভূমিদস্যুর হাতে আমরা ছেড়ে দিতে পারি না।’ মিরনজিল্লায় কোনো মাদকচক্র, কিশোর গ্যাং ও অপরাধ চক্রের আখড়া হতে দেব না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সব জমি আমরা দখলমুক্ত করব এবং আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ঢাকাবাসীর জন্য আমরা সেটা কাজে লাগাব; জনকল্যাণের কাজে লাগাব। ঢাকাবাসীর জীবনমান উন্নয়নে ও সুন্দর এবং বাসযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাব।’ বিগত চার বছরে নিয়োগপ্রাপ্ত পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সবাই হরিজন ও তেলেগু সম্প্রদায়ের এবং আগামীতেও তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলে জানান মেয়র।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হরিজন, তেলেগুসহ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাকরি নিশ্চিত করেছেন ও বাসা নিশ্চিত করেছেন। আজকে আমরা সেটাই বাস্তবায়ন করে চলেছি। বিগত ৪ বছরে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে এ পর্যন্ত ২৫০ জন নতুন পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ দিয়েছি। এরা সবাই হরিজন ও তেলেগু সম্প্রদায়ের। এর বাইরে আমরা নিয়োগ দিইনি’- যোগ করে বললেন মেয়র তাপস।

তিনি আরো বলেন, ‘আগামীতে যে নিয়োগ দেয়া হবে, সেখানেও হরিজন সম্প্রদায়কে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এ ছাড়া বাসা বরাদ্দের ক্ষেত্রে স্ব-স্ব সম্প্রদায়কে আলাদা আলাদাভাবে বাসা বরাদ্দ দিচ্ছি, যাতে করে কোনোরকম সাংঘর্ষিক কোনো কিছু না হয় এবং শৃঙ্খলা থাকে। সুতরাং আমরা মানবতার জননী শেখ হাসিনার রূপকল্প পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করে চলেছি।’
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘কোনো সম্প্রদায়ের অজুহাত দিয়ে আমাদের জমি বছরের পর বছর দখল করে সেখানে মাদকের আখড়া বানাবে, কিশোর গ্যাং বানাবে, অপরাধচক্র সৃষ্টি করবে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন তা বরদাশত করবে না। সুতরাং সব অবৈধ ভূমিদস্যুদের উচ্ছেদ করে আমরা আমাদের সব সম্পদ-সম্পত্তি ঢাকাবাসীর কল্যাণে নিয়োজিত করব। আজকে যে ৬৬টি বাসা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে, আপনারা এগুলো দেখভাল করবেন। এগুলো আপনাদের সম্পদ, সিটি করপোরেশনের সম্পদ।’
তিনি আরো বলেন, ‘আপনাদের জীবনযাপনে যেন অবৈধ কোনো চক্র কোনো ধরনের পাঁয়তারা সৃষ্টি করতে না পারে, সেদিকে আপনারা সচেতন থাকবেন। প্রয়োজনে আমাদের জানাবেন। আমরা সেসব কঠোরভাবে দমন করার ব্যবস্থা নেব ইনশা আল্লাহ।’