শাহ আবদুল হান্নান ছিলেন বহুমুখী প্রতিভাবান ব্যক্তিত্ব
- ০৮ জুন ২০২৪, ০১:১০
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থট (বিআইআইটি) আয়োজিত মরহুম শাহ আবদুল হান্নানের (রাহিমাহুল্লাহ) স্মরণ উপলক্ষে তার ‘জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে জুমে এই ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়। বিআইআইটির মহাপরিচালক ড. এম আবদুল আজিজের সভাপতিত্বে ও ড. ইবরাহিম খলিল আনোয়ারীর পরিচালনায় ওয়েবিনারে উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন বিআইআইটি ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু খলদুন আল-মাহমুদ।
প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, শাহ আবদুল হান্নান বহুমুখী প্রতিভাবান ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি যা বলতেন তার জীবনে তার প্রতিফলন ছিল, ফলে অন্যরা তার প্রতি আকৃষ্ট হতেন। সততার চেহারা তার অনেক অসাধারণ গুণ। বিআইআইটির মহাপরিচালক ড. এম আবদুল আজিজ বলেন, শহা আবদুল হান্নান প্রতিষ্ঠান গড়াকে গুরুত্ব দিতেন, প্রকাশনা ও গবেষণাকে গুরুত্ব দিতেন। তার দিকনির্দেশনা বিবেচনায় রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তিনি মনে করতেন, চিন্তার প্রক্রিয়া ভারসাম্যপূর্ণ হলে কাজকর্মও ভারসাম্যপূর্ণ হয়। তিনি সকল মহলের কাছে নন্দিত ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তাকে স্মরণ রাখার বা তাকে শ্রদ্ধা করার ভালো উপায় হলো তার ভারসাম্যপূর্ণ চিন্তা, নীতি ও ব্যাক্তিজীবনের অনুশীলনগুলোকে নিজেদের মধ্যে ধারণ করা এবং তার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে তার মিশন ও ভিশন অনুযায়ী পরিচালনা ও শক্তিশালী করা।
ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, তিনি সবাইকে তুলনামূলক পড়াশোনার ব্যাপারে উৎসাহিত করেছেন। তিনি সবার মেন্টর, ভিশনারি লিডার। তিনি প্রতিভা ও দক্ষতাকে প্রস্ফূটিত করতে ভীষণভাবে তাগাদা দিয়েছেন। তিনি হাতে-কলমে অনেক বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ করতে শিখিয়ে দিয়েছেন। সমসাময়িক সমস্যার সমাধানে দক্ষ ছিলেন। দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত দেয়ার গুণ উনার ছিল। তিনি ছিলেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মেও জন্যও একজন নেতা।
অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া বলেন, শাহ আব্দুল হান্নান পরের মঙ্গল কামনায় নিবেদিত ছিলেন। তিনি আলোকিত মানুষ ছিলেন এবং অনেকেই তার সংস্পর্শে এসে আলোকিত হয়েছেন। তিনি মানবতার আলো জ্বালিয়েছিলেন, ইসলামের আলো জ্বালিয়েছিলেন। তিনি সাদা মনের মানুষ ছিলেন। তিনি ছিলেন অতিথিপরায়ণ, গুণী ব্যক্তিত্ব, বিনয়ী মানুষ। অন্য ধর্মের মানুষকেও তিনি প্রেম-প্রীতি-ভালোবাসা বিলিয়েছেন। আমার জীবনে এমন মানুষ আর দেখিনি। মানবিক মূল্যবোধ ছিল, অসাম্প্রদায়িক মানুষ ছিলেন। পরের জন্য নিজের সুখ বিলিয়ে দিয়েছেন তিনি।
এ ছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক ড. মো: কবির হাসান, অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ ওমর ফারুক, অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল-আহসান, ড. মোহাম্মাদ আবদুল বারী, ড. আফরোজা বুলবুল, ড. শারমিন ইসলাম, ড. মো: মাহমুদুল হাসান, ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজাদ তাসফিয়া, মো: সিদ্দিকুর রহমান, মো: সফি উদ্দিন, মুসা খান ও রফিকুন নবী।
দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন পেশাজীবী, তরুণ চিন্তক, লেখক, গবেষকসহ ও শাহ আব্দুল হান্নানের ভক্ত ও অনুসারী ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন। কুরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে মরহুমের ওপর ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে মরহুমের রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করা হয়। বিজ্ঞপ্তি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা