ছাত্র না হয়েও রাবি ছাত্রলীগ সম্পাদকের দায়িত্বে গালিব
- রাবি প্রতিনিধি
- ০৬ জুন ২০২৪, ০০:০৫
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সান্ধ্যকালীন মাস্টার্সের শিক্ষার্থীর পরিচয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ পান আসাদুল্লাহ-হিল-গালিব। তবে শাখা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করার আগে তার ছাত্রত্ব না থাকার বিষয়টি গণমাধ্যমে কয়েক দফায় উঠে আসে। তখন বিষয়টি পাত্তা না দিয়েই এইচএসসি পাস করা গালিবকে গুরুত্বপূর্ণ এই ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক পদে বসান সাদ্দাম-ইনান কমিটি। তবে এবার বেরিয়ে এসেছে আসল রহস্য। তিনি ‘সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী না’ এমনটি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ। শিক্ষার্থী না হয়েও সবজায়গায় মিথ্যা ও ভিত্তিহীনভাবে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের পরিচয় দিতেন গালিব। গত মঙ্গলবার বিকেলে আসাদুল্লাহ-হিল-গালিব বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী নয়’ জানিয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: মোজাম্মেল হোসেন বকুল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সত্য প্রচার করতে আহ্বান জানান তিনি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি দৈনিক প্রথম আলোসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: আসাদুল্লাহ-হিল-গালিব ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভুয়া সনদে’ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সান্ধ্য মাস্টার্স কোর্সে ভর্তি হয়েছেন। যেটি আংশিক ও অসম্পূর্ণ তথ্য।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এইচএসসি পাস করে ২০১৪-১৫ সেশনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন আসাদুল্লাহ-হিল-গালিব। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির পর প্রথম বর্ষ থেকে দ্বিতীয় বর্ষ টপকাতে পারেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ড্রপআউট হন গালিব।
তবে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের শীর্ষ পদ পেতে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ পাসের ‘ভুয়া সনদ’ বানিয়ে সেটি দেখিয়ে রাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সান্ধ্যকালীন মাস্টার্স কোর্সে আবেদন করেন। তিনি এত দিন এ বিভাগের শিক্ষার্থী পরিচয় দিলেও তিনি এ বিভাগের শিক্ষার্থী না জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে বিভাগটি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আসাদুল্লাহ-হিল-গালিবের ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: মোজাম্মেল হোসেন বকুল বলেন, একটা শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করা হলে, এটা সাধারণত বাইরে জানানো হয় না। এটা সম্পূর্ণ বিভাগের ইন্টারনাল বিষয়। যেহেতু এর আগে বেশকিছু গণমাধ্যমে আসাদুল্লাহ-হিল-গালিবের এই বিষয়টি এসেছে। অনেকেই এ বিষয়ে পুরোপুরি সত্যটা জানে না। সেক্ষেত্রে আমার মনে হয়েছে, বিভাগের জায়গা থেকে এটি কিয়ার করা দরকার। সে জন্য গণমাধ্যম কর্মীদের সঠিক তথ্যটা প্রচার করতে বলেছি। এ বিষয়ে জানতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনকে কল করা হয়। সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পরই তিনি সাথে সাথে ফোন কেটে দেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা