ইব্রাহিম রাইসি স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া
- ০৫ জুন ২০২৪, ০১:০৫
ইরানের প্রেসিডেন্ট আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসি ও তার সফর সঙ্গীদের শাহাদতের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রাজশাহীতে এক স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজশাহীর নগর ভবনের পশ্চিমে গ্রেটার রোডে অবস্থিত শাহ ডাইন কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইরানের আল মুস্তফা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ প্রতিনিধি শাহাবুদ্দিন মাশায়েখি রাদ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. এফ এম এ এইচ তাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. মো: ফজলুল হক। রাজশাহীর মুহাম্মাদ আমিন ফারসি শিক্ষা কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো: শফিউল্লাহ, প্রফেসর ড. মো: কামাল উদ্দিন, প্রফেসর (অব:) ড. এম শামীম খান, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আ জ ম মনিরুল ইসলাম, রাজশাহী সূফি ফাউন্ডেশনের সম্পাদক রুহুল আমীন প্রামাণিক, রাজশাহী মহানগরের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো: আবদুল মান্নান, রাজশাহীর মুহাম্মাদ আমিন ফারসি শিক্ষা কেন্দ্রের পরিচালক শেখ আলী আকবর, আল মোস্তফা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণ, সংস্কৃতি ও যোগাযোগ বিষয়ক প্রধান মো: আলী নওয়াজ খান এবং প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক বিভাগের পরিচালক ড. মো: মাঈন উদ্দিন। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও তার সফরসঙ্গীদের শাহাদতের ফলে ইরানি জাতি ও মুসলিম উম্মাহর অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। যে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার মতো নয়। কারণ ইব্রাহিম রাইসি কেবল ইরানি জাতির জন্যই কাজ করেননি তিনি গোটা মুসলিম উম্মাহর জন্য কাজ করেছেন। ফিলিস্তিনসহ সারা বিশ্বের মজলুম মানুষের পক্ষে কাজ করেছেন। আর এর কারণেই তার শাহাদতে সারা বিশ্বের মানুষ কেঁদেছে। বক্তারা বলেন, কোনো দেশের প্রেসিডেন্ট মারা গেলে সাধারণত ওই দেশটিতে সরকারিভাবে শোক পালন করা হয়; কিন্তু ইরানের প্রেসিডেন্টের শাহাদতের ঘটনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও জাতি শোক পালন করেছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম ছিল না। ইরানের প্রেসিডেন্ট আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসি ও তার সফর সঙ্গীদের শাহাদতের ঘটনায় বাংলাদেশে গত ২৩ মে রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হয়। শোক পালনের অংশ হিসেবে সে দিন দেশের সব সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকে। শহীদদের জন্য সব মসজিদে বিশেষ দোয়া করা হয় এবং অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। সম্প্রতি আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি বাঁধ প্রকল্প উদ্বোধনের পর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শহর তাবরিজে ফেরার পথে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে শহীদ হন ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ও তার সফরসঙ্গীরা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহিয়ানও আছেন তাদের মধ্যে। আলোচনা শেষে শহীদদের জন্য দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বিজ্ঞপ্তি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা