চুয়াডাঙ্গায় ডিবিসি টিভির ক্যামেরা পারসনকে মারধর
- চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
- ০৪ জুন ২০২৪, ০১:৫২
পারিবারিক বিবাদের অভিযোগ মীমাংসা করতে গিয়ে সাংবাদিক লাঞ্ছিতের অভিযোগ উঠেছে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। এ সময় বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল ডিবিসি টেলিভিশনের ক্যামেরা পারসন শিমুল হোসেনকে মারধর করে পুলিশ সদস্যরা। ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে তাকে পিকআপ ভ্যানেও তোলা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ডিবিসির চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি কামরুজ্জামান সেলিমকেও হেনস্তা করে পুলিশ সদস্যরা। এ সময় তার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলা হয়। গত রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, অভিযোগ পেয়ে সাতগাড়ি এলাকার একটি পারিবারিক বিবাদের মীমাংসায় যান চুয়াডাঙ্গা সদর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নাসরিন আক্তারসহ সঙ্গীয় ফোর্স। এ সময় নিজের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়েছিলেন ডিবিসি নিউজের ক্যামেরা পারসন শিমুল হোসেন। পুলিশ সদস্যরা তার বাড়ির সামনে গিয়ে ওই অভিযুক্ত এক ব্যক্তির ব্যাপারে শিমুলের কাছে জানতে চান। শিমুল তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে হেনস্তা করে পুলিশ কনস্টেবল শাহীন। একপর্যায়ে বিষয়টি সদর থানার ওসি শেখ সেকেন্দার আলীকে জানানো হলে আরো ক্ষুব্ধ হয় ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ সদস্যরা। সেই সাথে যোগ দেয় সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামুন। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছায় ডিবিসি নিউজের প্রতিনিধি কামরুজ্জামান সেলিম। এ সময় তিনি পিকআপ ভ্যানের ছবি তুলতে গেলে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় এসআই মামুন। ভেঙে ফেলা হয় সাংবাদিকের ব্যবহৃত ফোনটি।
চিত্র সাংবাদিক শিমুলের অভিযোগ, শুরু থেকেই তুই-তাকারি করে মারমুখী আচরণ করেন পুলিশ সদস্যরা।
ডিবিসি নিউজের প্রতিনিধি কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আমাকেও হেনস্তা করা হয়।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমানের সাথে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি। পরে যোগাযোগ করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নাজিম উদ্দীন আল আজাদের সাথে। তিনি জানান, বিষয়টি দুঃখজনক। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা