১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বগুড়ায় স্ত্রী ও সন্তানকে গলা কেটে হত্যা : সেনাসদস্য স্বামী আটক

নিহত স্ত্রী আশামনি ও এক বছর বয়সী শিশুসন্তান আব্দুল্লাহ আল রাফিক -


বগুড়া শহরের বনানী এলাকায় ‘শুভেচ্ছা’ নামে একটি আবাসিক হোটেলে স্ত্রী আশামনি (২০) ও এক বছর বয়সী শিশুসন্তান আব্দুল্লাহ আল রাফিকে গলা কেটে হত্যা করেছেন পাষণ্ড সেনাসদস্য আজিজুল হক। তিনি বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার কালের পাড়া ইউনিয়নের হেউট নগর গ্রামের হামিদুল হকের ছেলে এবং চট্টগ্রাম সেনানিবাসে কর্মরত। পুলিশ তাকে আটক করেছে। সেনাসদস্য আজিজুল হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে পুলিশ দু’টি লাশ উদ্ধার করে। শাজাহানপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আজিজুল হক হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তবে শিশুর শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

নিহত আশামনির ভাই শহরের নারুলী এলাকার বাসিন্দা মেহেদি হাসান সনি জানান, সেনাসদস্য আজিজুল হকের সাথে প্রায় তিন বছর আগে তার বোনের বিয়ে হয়। দুই মাসের ছুটি নিয়ে তিনি কয়েক দিন আগে বগুড়ায় আসেন । এরপর আজিজুল গত বৃহস্পতিবার শহরের নারুলি এলাকায় শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে আসেন। গত শনিবার বেড়ানোর কথা বলে আজিজুল হক তার স্ত্রী ও ভাগ্নেকে নিয়ে শনিবার বাসা থেকে বের হন। মেহেদি হাসান জানান, তার বোনের সাথে ভগ্নিপতি আজিজুল হকের দাম্পত্য কলহ ছিল। তার ধারণা দাম্পত্য কলহের কারণেই তার বোন ও ভাগ্নেকে খুন করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিয়ের সময় তারা ভগ্নিপতিকে মোটা অঙ্কের টাকা যৌতুক হিসেবে দিয়েছেন। কিন্তু তার পরও তিনি নানা অজুহাতে টাকা চাইতেন।

শুভেচ্ছা হোটেলের ব্যবস্থাপক রবিউল ইসলাম জানান, গত শনিবার সন্ধ্যার পর আজিজুল হক তার স্ত্রী ও এক বছর বয়সী সন্তানকে নিয়ে দোতলার একটি কক্ষে ওঠেন। এরপর রাত ১১টার দিকে তিনি হোটেল থেকে বের হয়ে যান। এরপর রোববার (২ জুন) বেলা ১১টার দিকে আজিজুল হক হোটেলে কক্ষের ভাড়া পরিশোধ করতে আসেন। কিন্তু তখন তার সাথে স্ত্রী ও সন্তান না থাকায় আমাদের সন্দেহ হয়। এরপর আমরা তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেই। পরে পুলিশ এসে ওই কক্ষের বাথরুমের ভেতরে আশা মনির গল কাটা বিবস্ত্র লাশ এবং রুমের মধ্যে বস্তাবন্দী মাথাবিহীন সন্তানের লাশ দেখতে পান।


আরো সংবাদ



premium cement