১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বগুড়ার শেরপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই

-


বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় পৌর শহরের একটি বাণিজ্যিক ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাত অনুমান ১১টার দিকে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের হাসপাতাল রোডের দুলাল কমপ্লেক্সে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে ভবনটির নিচতলায় থাকা অনুমোদনহীন মিনি জ্বালানি তেলের দোকান লেমন এন্টারপ্রাইজ। দোকানের সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে অন্তত ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
এ ছাড়াও দোকানে কর্মরত শহিদুল ইসলাম ও আছের আলী আগুনে দগ্ধ হয়। তাদের চিকিৎসার জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হছেছে। এ ছাড়া আগুন নেভানোর সময় একজন ফায়ার ফাইটার আহত হয়।

এ দিকে আগুন লাগার খবর পেয়েই স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন এবং আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। পরে বগুড়াসহ আশপাশের উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট এসে তিন ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। ফলে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে ওই ভবনটির দোতলায় থাকা উত্তরা ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের শাখা ও তিনতলার একটি আবাসস্থল। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, কয়েক দিনের মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম আরো বাড়বে- এমন খবরে শনিবার রাতে তেলের লরি (ট্রাক) থেকে ডিজেল, পেট্রল, মবিল ওই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে মজুদ করা হচ্ছিল। এ সময় আগুনের সূত্রপাত হয়। তাদের ধারণা, ট্রাক ও লরি থেকে তেল দোকানে নেয়ার সময় শ্রমিকদের বিড়ি-সিগারেট থেকে আগুন লাগে। এমনকি মুহূর্তের মধ্যে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে ভবনের এক পাশ (উত্তরে) ওই তেলের দোকান ও গোডাউন থেকে আগুনের লেলিহান শিখা বের হতে থাকে। সেই সাথে ওই দোকানে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ শুরু হয়। বিকট শব্দে এসব গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের সময় আশপাশের লোকজনের মধ্যে চরম আতঙ্ক দেখা দেয়। পরে তারা ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় দূরপাল্লার অসংখ্য যানবাহন আটকে থাকায় মহাসড়কের উভয় পাশে তিন কিলোমিটারজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলে ধীরগতিতে গাড়ি চলাচল করে।

লেমন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে জ্বালানি তেল ডিজেল-পেট্রল, মবিল খুচরা ও পাইকারি দরে বিক্রি করেন। পাশাপাশি গ্যাস সিলিন্ডার ও গাড়ির যন্ত্রাংশ, টায়ারও বিক্রি করে আসছিলেন। সেখানে প্রায় ৪০ লাখ টাকার মালামাল ছিল। অগ্নিকাণ্ডে সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে দাবি করেন তিনি। শেরপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশন লিডার হাবিবুর রহমান বলেন, রাত সোয়া ১১টার দিকে ওই বাণিজ্যিক ভবনে আগুন লাগার খবর পান। এরপর তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু জ্বালানি তেলের কারণে আগুনের পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে। সেখানে থেমে থেমে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণও ঘটে। পরে তাদের পাশের ইউনিটগুলোকে খবর দেয়া হয়। এরপর আটটি ইউনিট একযোগে তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement