১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
ইন্টারন্যাশনাল লিজিং

নানা অনিয়মের অভিযোগে ডিএমডি মশিউরকে শোকজ

-


অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতে অভিযুক্তকে সাজা না দিয়ে তাকে দিয়ে করিয়েছেন অনৈতিক কাজ। এরপর প্রয়োজন ফুরিয়ে যাওয়ায় তদন্তের সাত মাস পর চাকরি থেকে টার্মিনেট করেছেন লঘু অপরাধে অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তা। আর এই সাত মাসে হাতিয়ে নেন কয়েক কোটি টাকা। এ ছাড়া ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পেয়ে ব্যাপক দুর্নীতি অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতিরও অভিযোগ উঠেছে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ডিএমডির মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে। নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে কারন দর্শনার নোটিশ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানের এমডি। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকসহ কয়েকটি সংস্থা থেকে কমিটি গঠন করে চালানো হচ্ছে তদন্ত ।

বিভিন্ন দফতরে দেয়া অভিযোগে জানা গেছে, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে ছিলেন হাসান মোহাম্মদ তারেক। একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে মশিউর রহমান। এক পর্যায়ে তিনি তারেককে অভিযুক্ত করে একটি রিপোর্টও দেন। কিন্তু তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেননি। উল্টো বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ও জোর করে তাকে দিয়ে বিভিন্ন আর্থিক ফাইলে অনিয়ম করতে বাধ্য করিয়েছেন। এভাবে চলতে থাকে সাত মাস। এরপর যখন তারেকের প্রয়োজন শেষ হয়ে যায় তখনই আগের সেই অপরাধ দেখিয়ে বরখাস্ত করা হয়। তারেক ন্যায়বিচার চেয়ে বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দিয়েছেন। তার অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট আরো একাধিক সংস্থা ছায়া তদন্ত শুরু করেছে।

ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের বোর্ড অব ডিরেক্টরসদের বৈঠকে ডাকা হয় সদ্য চাকরিচ্যুত হাসান মোহাম্মদ তারেককে। সেখানে কর্মকর্তারা তারেকের লিখিত অভিযোগের বিষয়ে মৌখিক বক্তব্য গ্রহণ করেন। কোম্পানির ডিএমডি মশিউর রহমান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে তারেক তাদের শাস্তির দাবি জানান। পরে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের পক্ষ থেকেও তারেকের আনীত অভিযোগগুলো তদন্তের নির্দেশনা দেয় বোর্ড অব ডিরেক্টরস।
তদন্তকারী টিমের একজন কর্মকর্তা জানান, তারেকের অভিযোগগুলো তদন্ত করে প্রাথমিকভাবে বেশকিছু ফাইলে অনিয়মের তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলোর বিষয়ে সঠিক জবাব চাওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে।

ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের পরিচালক জসিম উদ্দিন বলেন, তারেক কাজে বেশ দক্ষ ছিল। কিন্তু একটি অনিয়মের অভিযোগে তাকে টার্মিনেট করা হয়। এরপর ক্ষিপ্ত হয়ে সে ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে বেড়াচ্ছে। তদন্তের পর দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও কেন টার্মিনেট করা হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন, জনবল সঙ্কটের কারণে তাকে রাখতে হয়েছে। তবে ডিএমডি স্যারের সাথে বেয়াদবি করায় তাকে টার্মিনেট করা হয়। এ ব্যাপারে ডিএমডি মশিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, তারেকের সব অভিযোগই ভুয়া। একজন গ্রাহকের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তার বিরুদ্ধে তারেকের আনীত অভিযোগের একটিও সত্য নয় বলে দাবি করেন তিনি।

 


আরো সংবাদ



premium cement