১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

রাবিতে জিয়ার শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা

-

জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সিরাজী ভবনের ফোকলোর গ্যালারিতে ‘জাতীয় সংস্কৃতি ও শহীদ জিয়াউর রহমান’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফেরাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর এম রফিকুল ইসলাম। প্রধান আলোচক ছিলেন ছিলেন কবি, সাংবাদিক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল হাই শিকদার। জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফেরামের সভাপতি প্রফেসর ড. মো: আব্দুল আলিমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আমীরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন রাবির সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মামনুনুল কেরামত, প্রফেসর ড. কে বি এম মাহবুবুর রহমান, প্রফেসর ড. সিএম মোস্তফা, প্রফেসর ড. মো: রেজাউল করিম-২, প্রফেসর মোহা. এনামুল হক, প্রফেসর ড. মামুনুর রশীদ প্রমুখ।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে কবি আবদুল হাই শিকদার বলেন, আমাদের সাংস্কৃতিক যাবতীয় অর্জনের মূলে শহীদ জিয়ার অবদান অনস্বীকার্য। তাঁর মতো করে এ ব্যাপারে এত গভীরভাবে কেউ ভাবেনি। তাঁর বাস্তবোচিত কর্মকাণ্ডের ফলে এ দেশের সাংস্কৃতিক জগতে অভূতপূর্ব জাগরণ শুরু হয়েছিল। একুশে পদক, স্বাধীনতা পদকসহ নানা অর্জনের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির ব্যবস্থা তিনিই করেছিলেন। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিষ্ঠাতা তিনিই ছিলেন। আজকের বাংলাদেশ যে জঘন্য সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের শিকার এর পেছনে রয়েছে জিয়াউর রহমানের অনুসৃত স্বাতন্ত্র্য সাংস্কৃতিক বিনির্মাণের কর্মসূচি থেকে সরে আসা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ভারতীয় আগ্রাসনের মোকাবেলায় আজও জিয়াউর রহমানের আদর্শ আমাদের মূল প্রেরণা হয়ে আছে। জিয়াউর রহমান এ দেশের আধুনিকায়নের মূল কারিগর। তিনি বিস্ময়কর দূরদৃষ্টি নিয়ে দেশকে এগিয়ে নেন এবং ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ উপাধি দূর করে সারা পৃথিবীর মধ্যে মর্যাদার আসনে বাংলাদেশকে বসাতে সক্ষম হন।

 


আরো সংবাদ



premium cement