কবি আসাদ চৌধুরীকে যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি
- ২৬ মে ২০২৪, ০১:২৪
বাংলার মাটি-মানুষের প্রতি কবি আসাদ চৌধুরীর মমত্ববোধ ছিল প্রখর। কবিতায় তিনি যখন খ্যাতির শীর্ষে আরোহণ করেছেন, তখন জাত্যাভিমান ভুলে আসাদ চৌধুরী ছুটে গেছেন বাংলার প্রান্তিকে। গণমানুষের সাথে নিজের সম্পৃক্তিকে আরো বেশি নিবিড় করে তুলতে মরিয়া হয়ে বাংলার আলপথ ধরে ছুটে গেছেন গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। মানুষের প্রতি সমাজের প্রতি সম্পৃক্তি, সৌহার্দ্য আসাদ চৌধুরীর কবিতার প্রধানতম বৈশিষ্ট্য। তার কবিতায় বারবার উঠে এসেছে বাঙালি জাতীয়তাবাদ। বাংলা সাহিত্যে কবি আসাদ চৌধুরী একজন স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। তার চিন্তাচেতনা ও আদর্শ জাতীয় জীবনে অনিবার্য। তিনি উনিশ শতকের রাষ্ট্রচিন্তা ও পরবর্তী সময়ে সমসাময়িক চিন্তাচেতনায় দেশের কল্যাণ ও স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করেছেন। রাষ্ট্রীয়ভাবে কবি আসাদ চৌধুরীকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। আসাদ চৌধুরীর মতো একজন কবি স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত না হওয়া দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন বক্তারা। গত শুক্রবার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে কাঠপেন্সিল সাহিত্য সংসদ আয়োজিত কবি আসাদ চৌধুরী স্মারকগ্রন্থ প্রকাশনা উৎসবে বক্তারা এসব কথা বলেন। লেখক, সমাজবিশ্লেষক ও রাষ্ট্রচিন্তাবিদ অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক ও মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক সিরাজ উদ্দীন আহমেদ, কবি আসাদ মান্নান, অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়–য়া, কবির সহধর্মিণী সাহানা চৌধুরী, কথাসাহিত্যিক আতা সরকার, অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ, অধ্যাপক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন এবং কবি ও সম্পাদক ইমরান মাহফুজ।
কবি আবিদ আজমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি সীমান্ত আকরাম। অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করেন- আবৃত্তিশিল্পী নাসিম আহমেদ, শায়লা আহমেদ, তারিক হাসিব, আলমগীর ইসলাম শান্ত ও তালহা বিন শরীফ। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন ঐশিকা নদী। দেশ ও দেশের বাইরের প্রথিতযশা লেখকদের লেখাসংবলিত সমৃদ্ধ কলেবরে প্রকাশিত আসাদ চৌধুরী স্মারকগ্রন্থটি সম্পাদনা করেছেন কাঠপেন্সিল সম্পাদক সীমান্ত আকরাম। বিজ্ঞপ্তি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা