১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
উপকূলের জেলেদের শঙ্কা

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে সাগর থেকে মাছ ধরে নিয়ে যাবে ভারতীয়রা

-

বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় মাছ শিকারে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে গত রোববার মধ্যরাত থেকে। এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে বরগুনার বেশির ভাগ মাছ ধরার ট্রলারই ফিরেছে বিভিন্ন উপকূলে। তবে অভিযোগ রয়েছে নিষেধাজ্ঞায় কর্মহীন হয়ে পড়া জেলেদের মধ্যে অনেকেই পান না সরকার নির্ধারিত খাদ্যসহায়তা। এছাড়া নিষেধাজ্ঞার সময়ে প্রতিবেশী দেশের জেলেরা দেশের জলসীমায় ঢুকে মাছ শিকার করবে এমন আশঙ্কা রয়েছে সাধারণ জেলেদের।
সরেজমিন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা পালন করতে অসংখ্য মাছ ধরার ট্রলার নোঙর করেছে উপকূলের বিভিন্ন এলাকায়। দীর্ঘদিনের কর্মবিরতিতে জেলেদের অনেকেই বাড়িতে ফিরছেন পরিবারের কাছে। আবার কেউ কেউ শুরু করেছে ট্রলার ও জাল মেরামতের কাজ।
নাসির কাদের নামের এক জেলে বলেন, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার সময়ে আমরা ৪০ কেজি চাল পাই। এছাড়া যারা জেলে না তারাও চাল পায়। কিন্তু আমাদের জন্য বরাদ্দ ৮৬ কেজি চাল আমরা পাই না। এই দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞায় ৪০ কেজি চালে আমাদের পরিবার পরিচালনা কষ্ট হয়।

একই এলাকার জেলে মাহবুব হোসেন বলেন, যারা জেলে না তারা চাল পায়। আর আমরা জেলে হয়েও চাল পাই মাত্র ৪০ কেজি। প্রকৃত জেলেদের মধ্যে অনেক জেলেই চাল পায় না। আর এই নিষেধাজ্ঞার সুযোগে ভারতীয় জেলেরা আমাদের জলসীমায় ঢুকে মাছ ধরে নিয়ে যায়।
মালেক নামের এক জেলে বলেন, মালিকের সাথে সাগরে মাছ শিকার করে আমরা ঋণগ্রস্ত হই। যে চাল পাই তা দিয়ে পরিবার চলে না। এ কারণে আমরা আরো ঋণগ্রস্ত হয়ে যাই।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বরগুনায় ২৭ হাজার ২৫০ জন সমুদ্রগামী জেলে রয়েছে। এসব জেলেদের জন্য প্রথম ধাপে সহায়তার চাল বিতরণ করতে গত ২৯ এপ্রিল এক হাজার ৫২৬ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
বরগুনা জেলা মৎস্য অফিসার বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, ইতোমধ্যে আমরা ট্যাক্স ফোর্সের সভা করেছি। সভার সিদ্ধান্তের আলোকে জেলেদের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৫৬ কেজি ও দ্বিতীয় পর্যায়ে আরো ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হবে। সমুদ্রগামী জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত এসব চাল আমরা পেয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে জেলেদের কাছে বরাদ্দকৃত চাল পৌঁছে দেয়া হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement