কক্সবাজারে ৭ লাখ পিস ইয়াবাসহ চার মাদককারবারি আটক
- কক্সবাজার অফিস
- ২১ মে ২০২৪, ০০:৪৫
মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা থেকে ইয়াবার বিশাল চালান নিয়ে বিলাসবহুল পাজেরো জিপে করে পাচার করতে গিয়ে র্যাবের হাতে ধরা পড়েছে সাত লাখ ইয়াবাসহ চার কারবারি। এদের মধ্যে রয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে আত্মসমর্পণ করা আত্মস্বীকৃত একজন ইয়াবা কারবারি।
গত রোববার কক্সবাজারের উখিয়ার পাটুয়ারটেক বিচ এলাকার মেরিন ড্রাইভ রোডে র্যাবের একটি টিম অভিযান চালিয়ে পাজেরো জিপ ও ইয়াবাসহ এই চার মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে।
গতকাল দুপুরে কক্সবাজার প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান র্যাব ১৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর শরীফুল আহসান।
গ্রেফতারকৃতরা হলো আত্মসমর্পণ করা আত্মস্বীকৃত ইয়াবা কারবারি টেকনাফ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলীর ছেলে আব্দুল আমিন (৪০), আবু ছৈয়দের ছেলে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, মরহুম আবুল কাশেমের ছেলে নুরুল আবছার (২৮) এবং মৃত দিল মোহাম্মদের ছেলে জাফর আলম (২৬)। গ্রেফতারকৃতরা সবাই টেকনাফ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
প্রেস ব্রিফিংয়ে মেজর শরীফুল আহসান জানান মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা থেকে ইয়াবার বিশাল একটি চালান কক্সবাজার হয়ে চট্টগ্রাম ও ঢাকায় পাচার হওয়ার একটি গোয়েন্দা তথ্য পেয়ে গত রোববার রাতে র্যাবের একটি টিম টেকনাফ কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ রোডের উখিয়া পাটোয়ারটেক এলাকায় অবস্থান নেয়। এসময় একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের স্টিকার ও নম্বর যুক্ত বিলাসবহুল পাজেরো জিপ মেরিন ড্রাইভ রোড অতিক্রম করলে র্যাব টিম পাজেরো জিপটি আটক করে। পরে পাজেরো জিপের আরোহীদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে জিপে ইয়াবার চালান রয়েছে। এসময় গাড়ির পেছনে তল্লাশি চালিয়ে সাত লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আব্দুল্লাহ জানান মিয়ানমারের রাখাইনে অবস্থান করা ইয়াবা কারবারি বার্মাইয়া সিরাজের মাধ্যমে এই ইয়াবার চালানটি সীমান্ত এলাকা থেকে তারা কিনে নিয়ে আসছিল।
প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত আব্দুল আমিন ইয়াবা কারবারের একজন গডফাদার। জীবনে আর কোনো ধরনের মাদক কারবারে জড়িত হবে না এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাত বছর আগে টেকনাফে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল। তার বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মাদকসহ ১১টি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া গ্রেফতার আব্দুল্লাহ মিয়ানমার থেকে গরু পাচার চক্রের একজন সিন্ডিকেটের প্রধান এবং ইয়াবার কারবারি। জব্দ করা বিলাসবহুল পাজেরো জিপটি আব্দুল্লাহর বাবা আবু ছৈয়দের নামে রেজিস্ট্রেশন করা। তার বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে প্রেস ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করেন তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা