পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে মুক্ত বিনিয়োগনীতি ঘোষণার দাবি
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২১ মে ২০২৪, ০০:৪৫
বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে মুক্ত বিনিয়োগনীতি ঘোষণার দাবি জানিয়েছে জাতীয় আইনজীবী সমিতি। সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আগামী বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মুক্ত বিনিয়োগনীতি ঘোষণা করে বিদেশ থেকে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার পদক্ষেপ নিতে পারে। এতে বিভিন্ন সেক্টরে ক্রমশ বিনিয়োগ বাড়বে এবং মুদ্রাবাজারে গতিশীলতা বাড়বে, ডলার সঙ্কটও কমে আসবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ মো: খসরুজ্জামান। এসময় সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল মো: সগীর আনোয়ার, সহসভাপতি শামসুল জালাল চৌধুরী, সুরাইয়া বেগম, ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল সাহেদ আলী জিন্নাহ, ফয়জুর রহমান চৌধুরী শাহীন, মো: আব্দুছ ছবুর দেওয়ান, শেখ রেজাউল করিম, মোশারফ হোসেন সেতু, শেখ লোকমান হাকিম, কামাল হোসেন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে পুরনো ধ্যান ধারণা থেকে সরে এসে উদার নীতি অবলম্বন করতে হবে। করদাতাদের নির্দিষ্ট পরিমাণ আয়ের উৎসের ওপর কর আরোপের হার ৫ শতাংশ বাড়িয়ে তাদের ব্যবসায় নিরুসাহিত হওয়ার সুযোগ না দিয়ে বরং তাদেরকে উৎসাহিত করার পথ বোর্ডকে গ্রহণ করার সময় এসেছে। বোর্ড আসন্ন বাজেটকে বিনিয়োগবান্ধব বাজেট হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। মুক্ত বিনিয়োগ বাজেট ঘোষণা করা আজ সময়ের দাবি। এতে সরকারের রাজস্ব বিপুল পরিমাণ বাড়বে বলে আমরা মনে করি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, বৈশ্বিক যুদ্ধকালীন সঙ্কট দেশের শিল্প, কৃষি, স্বাস্থ্য, আবাসন, মৎস্য-প্রাণিসম্পদ, আবাসন খাতসহ আমদানীকৃত সব কাঁচামাল ব্যবসায় জড়িত সব ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগকৃত অর্থ বিনা কর আরোপে এবং বিনা প্রশ্নে জাতীয় বোর্ড মেনে নিয়ে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করার সুযোগ দিলে ব্যবসার ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায় সৃষ্টি হবে। এছাড়া দেশের প্রত্যেক উপজেলায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর অফিস স্থাপন করে রাজস্ব আহরণ করার এখনই উপযুক্ত সময়। একই সাথে বিদেশে অর্থপাচার বন্ধ হওয়ার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্র আরো সক্রিয় হওয়ার পাশাপাশি ব্যাংক ও বীমা বিভাগ নিয়ে একটি নতুন মন্ত্রণালয় গঠন করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা