১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সখীপুরে অর্ধশতাধিক মানুষের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চেয়ারম্যান অবরুদ্ধ

-

টাঙ্গাইলের সখীপুরে বিনামূল্যে বিদেশ পাঠানোর কথা বলে কয়েকটি গ্রামের অর্ধশতাধিক দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে এক চেয়ারম্যানকে দীর্ঘ সময় তারই পরিষদের কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে ভুক্তভোগীরা। গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার ৬ নম্বর কালিয়া ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীরা নয়া দিগন্তকে জানান, কালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামাল মিয়া সাত-আট মাস আগে বিনামূল্যে বিদেশ পাঠানোর কথা বলে একই ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের অর্ধশতাধিক দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে পাসপোর্ট নেন। তারা জানান, শুরুতে বিনামূল্যে বিদেশ পাঠানোর কথা বললেও পরে বিভিন্ন খরচের নামে কচুয়া গ্রামের লাল মিয়া ও কালামের থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার, নিশ্চিন্তপুর গ্রামের আমজাদের থেকে ১ লাখ, আড়াইপাড়া গ্রামের মেহেদিনর থেকে ১ লাখ, নিশ্চিন্তপুর গ্রামের লতিফ মিয়ার থেকে ১ লাখ, আড়াইপাড়া গ্রামের রুবেল মিয়ার থেকে ৭৫ হাজার, কচুয়া গ্রামের সাকিবের থেকে ১লাখ টাকা এবং সাড়াসিয়া গ্রামের জুয়েল ও হিলিম ও অন্যান্য গ্রামের রায়হান, শুভ, আলম, শামীম ও সুমননের কাছ থেকে বিদেশ পাঠানোর নামে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা নেয়া হয়েছে বলে তারা নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন। ভুক্তভোগীরা জানান, টাকা দেয়ার পরে সাত-আট মাস অতিবাহিত হলেও বিদেশ যেতে না পারলে তারা খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন তাদেরই ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যানের মাধ্যমে তারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। ঢাকায় নিয়ে মেডিক্যাল করা এবং টাকা নেয়ার সময় ইমেইল মেসেজ দেখানো এসবই ছিল চেয়ারম্যানের প্রতারণার অংশ।
পরে ভুক্তভোগীরা চেয়ারম্যানের কাছে টাকা দাবি করলে তিনি ১৫ মে বুধবারের মধ্যে বিদেশ পাঠাতে না পারলে টাকা ফেরত দেয়ার আশ্বাস দেন। ভুক্তভোগীদের বিদেশ পাঠাতে না পারলে চেয়ারম্যানের দেয়া নির্ধারিত সময়ে ভুক্তভোগীরা কালিয়া ইউনিয়ন পরিষদে টাকা চাইতে গেলে চেয়ারম্যান জামাল মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন চান ও তার সহযোগীরা ভুক্তভোগীদেরকে পরিষদে চেয়ারম্যানের কক্ষে আটক করে মারধর করেন বলে ভুক্তভোগীদের কয়েকজন অভিযোগ করেন। পরে সখীপুর থানার এসআই মান্নান, এসআই আলমীর ও সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যরা গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
পরে এ খবর জানাজানি হলে ভুক্তভোগী ও স্থানীয় কয়েক শ’ লোক কালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষে চেয়ারম্যান জামাল মিয়া ও তার ছেলেকে দীর্ঘ সময় অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে চেয়ারম্যান জামাল মিয়া ও তার ছেলে আলমগীর হোসেন চান আগামী ২২ মে ভুক্তভোগীদের টাকা এবং পাসপোর্ট ফেরত দেয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এর আগে গত ২ মে বৃহস্পতিবার কালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামাল মিয়ার বিরুদ্ধে ১০টি অভিযোগ উল্লেখ করে একই ইউনিয়নের ৯ সদস্য সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সরকারি বিভিন্ন দফতর বরাবর লিখিত অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেন।


আরো সংবাদ



premium cement
প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে বুদ্ধিজীবী দিবসে চট্টগ্রাম ক্লাবে কনসার্ট সাকিবের বোলিং নিষিদ্ধ করল ইংল্যান্ড ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের অভিযোগে ডুয়েটের ১৪ শিক্ষার্থীর সাজা সিলেট যেন মিছিলের নগরী এক বছরের ব্যবধানে ফের অবসরে ইমাদ ওয়াসিম শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শ্রমনীতি চালু করতে হবে : শামসুল ইসলাম সাভারে দিন-দুপুরে চলন্ত বাসে ডাকাতি বাংলাদেশ সফরে আসছেন নাসার প্রধান নভোচারী সংবিধানে আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপনের দাবি হেফাজত আমিরের ব্রিটিশরা ভারতবর্ষের কতটা আর্থিক ক্ষতি করে গেছে আওয়ামী লীগ জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে : রফিকুল ইসলাম খান

সকল