দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় নদীভাঙন
- রাজবাড়ী প্রতিনিধি
- ১১ মে ২০২৪, ০২:০৭
অসময়ে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় চলছে তীব্র নদীভাঙন। ফলে নদীতে কোনো স্্েরাত বা বাতাস না থাকলেও রাস্তাসহ নদীর পাড় ঝর ঝর করে পানিতে ভেঙে পড়ছে। তবে এলাকাবাসী জানান, ঘাটের দক্ষিণ পাশের বালু কেটে নেয়ায় এ ভাঙন শুরু।
গত শুক্রবার সকাল থেকে ৬ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। ফলে এ ঘাট দিয়ে ফেরি পারাপার বন্ধ রয়েছে। এক সপ্তাহে ১০ মে বিকেল পর্যন্ত প্রায় ফেরিঘাটের মূল রাস্তাসহ ২৫-৩০ মিটার এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
এদিকে ভাঙনকবলিত আশপাশের অসহায় লোকজন ভাঙন আতঙ্কে অন্যত্র দোকান, ব্যবসাকেন্দ্র ও ঘরবাড়ি ভেঙে সরিয়ে নিচ্ছে। তবে ভাঙন প্রতিরোধে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এক হাজার বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলছে। এ সময় গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র ভাঙন স্থান পরিদর্শন করেন এবং নির্দেশনা দেন।
সরেজমিন দৌলতদিয়া ৬ নম্বর ভাঙন এলাকায় দেখা যায়, বিআইডব্লিউটিএর সহযোগিতায় ট্রলার থেকে বালুভর্তি করে নদীতে জিও ব্যাগ ফেলছেন শ্রমিকরা।
ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আগেভাগে ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিলে এত বড় ক্ষতি হতো না।
বিআইডব্লিউটিএর উপসহকারী প্রকৌশলী মো: শহিদুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ট্রলার থেকে বালুভর্তি করে ভাঙন স্থানে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। আপাতত ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগগুলো ফেলা হচ্ছে। স্থায়ী ভাঙন ঠেকাতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নেবেন।
ইউএনও জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র ভাঙন স্থান পরিদর্শন শেষে বলেন, দৌলতদিয়া ৬ নম্বর ফেরিঘাটে হঠাৎ ভাঙনের খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আপাতত ভাঙন ঠেকাতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা