১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সরকার নতুন প্রজন্মের কাছে জিয়ার নাম মুছে ফেলতে চায় : মঈন খান

জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছেন ড. মঈন খান : নয়া দিগন্ত -

বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার নতুন প্রজন্মের মন থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করছে অভিযোগ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, সরকার নতুন প্রজন্মের মন থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলতে চাইলেও সেই অপচেষ্টা সফল হবে না। কারণ জিয়াউর রহমান এ দেশের সব ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার একটি পরিচিতি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ প্রবর্তন করেছিলেন। তিনি স্বাধীনতাপরবর্তী সময়ে তলাবিহীন ঝুঁড়িতে পরিণত হওয়া বাংলাদেশকে স্বয়ংসম্পন্ন করেছিলেন। ১৯৭৫ সালে সিপাহী জনতার বিপ্লবে দেশের জনগণ তার হাতে নেতৃত্ব তুলে দিয়েছে। তিনি কখনো ক্ষমতার জন্য লড়াই করেননি। আমরা শুধু নই, গোটা দেশের মানুষ তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছেন।
গতকাল (শনিবার) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এর আগে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও বিশেষ মুনাজাত করেন নেতারা।
উল্লেখ্য, গত ২৬ এপ্রিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
মঈন খান বলেন, ক্ষমতাসীন সরকারের পতনের লক্ষ্যে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ষড়যন্ত্র করছে না। বরং আন্দোলনে একজোট হয়েছে।
ডান-বাম সবাই প্রকাশ্যে বলছে, এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তারা প্রহসনের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন হয়েছে। সেজন্যই সরকার জনগণকে ভয় পায়। কারণ জনগণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য শত শত বছর ধরে আন্দোলন করেছে। আবারো তারা যেকোনো স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়াবে।
তিনি বলেন, বিএনপির এই আন্দোলন ক্ষমতায় যেতে নয়, ক্ষমতা কাঠামোর পরিবর্তনের জন্য। তাই বিএনপি সেই লক্ষ্যে রাজপথে আছে এবং রাজপথে থাকবে।
গত ১৫ বছরে দেশে ফের নতুন বাকশাল কায়েম করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।
এখানে গণতন্ত্র নেই, মানুষের বাকস্বাধীনতা ও নারীর স্বাধীনতা নিরাপত্তা নেই। আমরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ সামনে রেখে এগিয়ে যাব এটাই হোক আমাদের প্রত্যয়।
তিনি আরো বলেন, দেশের জনগণ ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায়, দেশে গণতন্ত্র চায়। তারা কখনো একদলীয় বাকশাল শাসন মেনে নেবে না। একদলীয় শাসন থেকে বেরিয়ে আসতে হলে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার বিকল্প নেই।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মো: আবদুস সালাম, জয়নুল আবদিন ফারুক, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জেড রিয়াজ উদ্দিন খান নসু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, ওলামা দলের সাবেক আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক, ওলামা দলের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা কাজী মো: সেলিম রেজা, সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মাওলানা আবুল হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা মো: আলমগীর হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা ক্বারী গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা মো: দেলোয়ার হোসেইনসহ সাবেক কমিটির শতাধিক নেতাকর্মী।


আরো সংবাদ



premium cement