১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

রাজধানীর ফুটপাথ দখলকারীদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ হাইকোর্টের

-

রাজধানী ঢাকার ফুটপাথ যারা দখল করেছে বা বিক্রি করেছে তাদের নামের তালিকা এফিডেভিট আকারে দাখিল করতে বলেছেন হাইকোর্ট। একই আদালত অপর এক নির্দেশে দখলকারীদের বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তাও জানাতে বলেছেন।
গতকাল সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো: বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট সঞ্জয় মণ্ডল, অ্যাডভোকেট জাহিদ তালুকদার ও অ্যাডভোকেট সেলিম রেজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডিএজি আমিত তালুকদার।
আদালতে এইচআরপিবির পক্ষে কৌঁসুলি সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, ১৫ দিনের মধ্যে তালিকা ও দখলকারীদের নাম দেয়ার নির্দেশনা থাকলেও আট মাস অতিক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত কোনো তালিকা দাখিল করা হয়নি। যার মাধ্যমে ফুটপাথ দখল করে অবৈধ ব্যবসা ও চাঁদাবাজি অব্যাহত রয়েছে এবং কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে। এর কারণে জনগণের ফুটপাথ দিয়ে চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। শুনানি শেষে আদালত আদেশ প্রদান করে আগামী ১৩ মে স্বরাষ্ট্র সচিব বা স্থানীয় সরকারের সচিবকে এ নির্দেশ দেন।
ঢাকার ফুটপাথ দখল বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাখিলকৃত এফিডেভিটে ঘটনার সাথে স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তি ও কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ঢাকার বিভিন্ন স্থানের ফুটপাথ বিক্রি ও ভাড়া দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা চাঁদাবাজি করে কিছু ব্যক্তি অসৎ উপায়ে অর্থ উপার্জন করছেন এবং জনগণের স্বাভাবিক চলাচল বিঘিœত করছেন এই মর্মে মিডিয়ায় সংবাদ প্রচারিত হলে, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ একটি জনস্বার্থে রিট পিটিশন দায়ের করলে হাইকোর্ট ডিভিশন ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর রুল জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করার নির্দেশনা দেন এবং দখলকারীদের তালিকা ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করার নির্দেশ প্রদান করা হয়।
ওই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল স্বরাষ্ট্র সচিবের পক্ষে এভিডেভিট দাখিল করে সাত সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গত বছরের ২১ মে কমিটি গঠনের বিষয়ে জানানো হয়।
যার সদস্যরা হলেন অতিরিক্ত সচিব স্থানীয় সরকার বিভাগ, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, যুগ্ম সচিব জননিরাপত্তা বিভাগ, সিআইডির ডিআইজি পদমর্যাদা সম্পন্ন একজন অফিসার, রাজউকের একজন সদস্য এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের একজন উপসচিব।
ওই কমিটির সভাপতি ড. মলয় চৌধুরীর সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সবার আলোচ্য সূচিতে ফুটপাথে দোকান বসানো ও দখলের সাথে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
সভায় ১৫ দিনের মধ্যে রাজউক ও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে বিদ্যমান ওয়াকওয়ে ও ফুটপাথের তালিকা এবং অবৈধভাবে তা দখলের তালিকা দাখিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। অপর এক সিদ্ধান্তে ফুটপাথ ভাড়া ও বিক্রি করে অবৈধ অর্থ আদায়ের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের তালিকা ১৫ দিনের মধ্যে দাখিলের জন্য জননিরাপত্তা বিভাগ, ঢাকার শুধু দুই সিটি করপোরেশন ও রাজউককে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement