শিক্ষাক্রম মূল্যায়নে পরিবর্তন সামষ্টিক পরীক্ষায় লিখিত ধাপ
জনমত জরিপের পরামর্শ শিক্ষাবিদদের- শাহেদ মতিউর রহমান
- ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৫
নতুন শিক্ষাক্রমে আবারো আসছে পরিবর্তন। আগের পদ্ধতিতে সামষ্টিক ধাপে দলগত কাজের মূল্যায়ন করা হলেও এবার শিক্ষার্থীদের দিতে হবে লিখিত পরীক্ষা। আর নিজ নিজ পরীক্ষা কেন্দ্রেই হবে ৫০ নম্বরের মূল্যায়ন। তবে নতুন এ পদ্ধতি চালুর আগে শিক্ষার্থী শিক্ষক আর অভিভাবকদের মতামত নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষাবিদরা।
সূত্র জানায়, নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নে শিগগিরই কিছু পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড জানিয়েছে, সামষ্টিক মূল্যায়নে এবার যুক্ত হচ্ছে লিখিত পরীক্ষা। একটি নির্দিষ্ট দিনে পরীক্ষায় বসবে শিক্ষার্থীরা। তবে এটি প্রচলিত পরীক্ষার মতো হবে। আর দশম শ্রেণীতে গিয়ে বোর্ড পরীক্ষা হবে, যা নিজ প্রতিষ্ঠানে নয়, হবে অন্য প্রতিষ্ঠানে। তবে এটি বাস্তবায়নের আগে জরিপ করার কথা বলছেন শিক্ষাবিদরা।
এর আগে অবশ্য গত বছর ষষ্ঠ আর সপ্তম শ্রেণী দিয়ে নতুন কারিকুলাম শুরুর পর থেকেই মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। অভিভাবকরা চাইছিলেন প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতি যেন বহাল থাকে। অন্য দিকে অভিভাবকদের এই দাবি আমলে নিয়ে বর্তমানে মূল্যায়ন পদ্ধতিতে খানিকটা পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে দেয়া সেই প্রস্তাবনায় কী আছে- এমন প্রশ্নের জবাবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, বছরব্যাপী মূল্যায়ন চলবে। আর থাকবে সামষ্টিক মূল্যায়ন। এই মূল্যায়ন সাত দিনের পরিবর্তে এক দিনে হবে। যেখানে সবগুলো ধাপের পর থাকবে লিখিত পরীক্ষা।
তিনি বলেন, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বছরব্যাপী মূল্যায়নে ও সামষ্টিক দুই অংশেই থাকবে ৫০ শতাংশ করে। সে ক্ষেত্রে দশম শ্রেণীর পরীক্ষা হবে পাবলিক পরীক্ষা এবং শিক্ষার্থীরা ভিন্ন কেন্দ্রে এ পরীক্ষা দেবেন। তিনি বলেন, ৫০ শতাংশ মূল্যায়ন শিক্ষার্থী কেন্দ্রেই পাবে। বাকি ৫০ শতাংশের মধ্যে পরীক্ষার খাতা বোর্ডে যাবে, সেখান থেকে মূল্যায়ন হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ড. হাফিজুর রহমান বলেন, নতুন পদ্ধতি বাস্তবায়নের আগে এর কার্যকারিতা যাচাই করা প্রয়োজন। সেই সাথে প্রয়োজন নজরদারিরও। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে নতুন কারিকুলামের রূপরেখার অনুমোদন হয়। ২০২৩ সাল থেকে শুরু হয় এটির বাস্তবায়ন। পুরো বাস্তবায়নে সময় লাগবে ২০২৭ সাল পর্যন্ত।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা