ট্রাফিক নির্দেশনায় ড্রোন ব্যবহার করবে পুলিশ
- আশুলিয়া (ঢাকা) সংবাদদাতা
- ০৫ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৬
সড়কের যেখানে যেখানে যানজটের সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে পুলিশের ড্রোন থাকবে। ড্রোনের মাধ্যমে পুলিশ ট্রাফিক নির্দেশনা দেয়ার চেষ্টা করবে। এমনটাই জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশের প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মো: শাহাবুদ্দিন।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে ঢাকা-আরিচা, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক পরিদর্শনে এসে আশুলিয়ার বাইপাইল ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে তিনি এ তথ্য জানান। হাইওয়ে পুলিশের প্রধান বলেন, প্রযুক্তি কিন্তু আমাদের সেবার মান উন্নয়ন করে, আমাদের দক্ষতা বাড়ায়। এজন্য এবারো আমরা বডিওন ক্যামেরা, ড্রোন ক্যামেরা ও সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করব। বিশেষ করে যেখানে যেখানে যানজটের সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে কিন্তু পুলিশের ড্রোন থাকবে। ড্রোনের মাধ্যমে কিন্তু আমরা ট্রাফিক নির্দেশনা দেয়ার চেষ্টা করব।
এ সময় তিনি বলেন, ঈদুল ফিতরের যাত্রা উপলক্ষে সার্বিক পরিস্থিতি এবং ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এবারের ঈদযাত্রায় গাবতলী থেকে নবীনগর পর্যন্ত এবং নবীনগর থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত সড়কের মানোন্নয়ন ও নির্মাণ কাজ চলছে। ইতোমধ্যেই এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আমাদের কয়েক দফায় কথা ও সমন্বয় হয়েছে। নির্মাণকাজ চলমান থাকলেও ঈদের আগ পর্যন্ত মহাসড়ক যে অবস্থায় তারা রাখবেন তাতে যাত্রায় কোনো বাধা তৈরি হবে না। আশা করি ঈদযাত্রা হয়তো আজকে থেকেই শুরু হবে ও কাল, পরশু থেকে আরো বাড়বে। আগামী ৬ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত আমরা কর্মমুখী লোকজনকে ব্যাপক হারে সড়কে দেখতে পাবো। সেক্ষেত্রে আমাদের সড়ক প্রস্তুত রয়েছে।
এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সার্বিকভাবে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সিনিয়র অফিসাররা মাঠপর্যায়ের অফিসার যেমন- জেলাপুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, মেট্রোপলিটন পুলিশ সার্বিকভাবে আমরা সড়ক মহাসড়ক পরিদর্শন করছি। আমাদের প্রস্তুতিকে আমরা রিভিউ করে নিচ্ছি যাতে করে এবার ঘরমুখো মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদযাত্রা করতে পারে, নিরাপদে স্বজনের কাছে পৌঁছতে এবং ফিরে আসতে পারে।
তিনি আরো বলেন, ঈদযাত্রা উপলক্ষে কিন্তু এক ধরনের অপরাধীচক্র মাথাচাড়া দেয়। বিশেষ করে মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টি ও ছিনতাইকারীরা তৎপর হয়ে উঠে। বিষয়টি মাথায় রেখে এক মাস আগে থেকে বিভিন্ন অপরাধপ্রবণ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। বিপুল সংখ্যক অপরাধীকে ধরা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের নজরদারি রয়েছে, সাদা পোশাকে নজরদারি রয়েছে। এ ধরনের অপরাধী থেকে যাত্রী সাধারণকে সচেতন থাকতে হবে। তাদের কোনো ধরনের আলামত কিংবা সন্দেহ হলে যেন ‘৯৯৯’ এ কল দেই। পুলিশকে সহায়তা করছে এ ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
এ সময় ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফি, সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ-জামান, আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এএফএম সায়েদ, সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবুল আক্তারসহ হাইওয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা