চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে আমান উল্লাহ আমানের আবেদন

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ১৩ বছর সাজা মামলায় জামিনে মুক্ত বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন।
আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে রোববার তার আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। গত ২০ মার্চ মামলায় ১৩ বছর সাজা মামলায় বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানকে জামিন দেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ পাঁচ বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ জামিন মঞ্জুর করেন। তবে জামিনের শর্ত হিসেবে বিদেশ যেতে হলে আদালতের অনুমতি নেয়ার বাধ্যবাধকতা দিয়েছেন আদালত।

আদালতে আমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
আদেশের পরে আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছিলেন, আপিল বিভাগ শুনানি নিয়ে জামিন দিয়েছেন। এর ফলে এখন তার মুক্তিতে কোনো বাধা নেই বলেও তিনি জানান। তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় গত বছরের ৩০ মে বিচারপতি মো: নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেত্বতাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ আমানের ১৩ বছরের সাজা বহাল রেখে রায় দেয়। এরপর এ রায়ের বিরুদ্ধে ১২ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগে আবেদন করেন তিনি।
এ দিকে হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক আবুল কাশেমের আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
২০০৭ সালের ৬ মার্চ সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় আমান দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন আমান উল্লাহ আমানকে ১৩ বছর এবং তার স্ত্রী সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন বিশেষ জজ আদালত। এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন তারা। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট তাদের খালাস দিয়ে দেয়। কিন্তু হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে যায় দুদক। পরে আপিল বিভাগ ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আপিলটি পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন। এরপর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ শুনানি শেষে গত বছর নিম্ন আদালতের সাজা বহাল রেখে রায় দেয়।