পর্যটনে শতকোটি টাকা ব্যবসার সম্ভাবনা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০৫
দুই জেলায় আজ থেকে তিন দিন পর্যটকদের ঢল নামছে। তিন দিনের ছুটিতে ইতোমধ্যে দেশের পর্যটননির্ভর জেলাগুলোতে প্রায় ৮০ শতাংশ হোটেল মোটেল বুকিং হয়ে গেছে। এর মধ্যে অন্যতম কক্সবাজার ও সিলেট। এতে প্রায় শত কোটি টাকার ব্যবসা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, সাপ্তাহিক দুই দিনের ছুটির সাথে যোগ হয়েছে ঈদে মিলাদুন্নবী সা:-এর ছুটি। তিন দিনের ছুটিতে ভ্রমণপিপাসু পর্যটকেরা ছুটছেন দেশের বড় এই দু’টি পর্যটন এলাকায়। এতে কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টের ৮০ শতাংশের মতো কক্ষ অগ্রিম ভাড়া হয়ে গেছে।
স্থানীয় প্রশাসন ও ব্যবসায়ীদের তথ্য অনুযায়ী, কক্সবাজারে আসা একেকজন পর্যটক থাকা, খাওয়া, ঘোরাঘুরি ও কেনাকাটা মিলিয়ে গড়ে প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা খরচ করেন। তাতে ধারণক্ষমতা অনুযায়ী পর্যটক থাকলে দৈনিক ১০০ থেকে ১৫০ কোটি টাকার ব্যবসা হবে।
দেশের ভেতরে বেড়ানোর জন্য ভ্রমণপিপাসু পর্যটকদের কাছে কক্সবাজারের পরই পছন্দের তালিকায় আছে সিলেট। তিন দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে এ বিভাগের চার জেলার কয়েক শ’ হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউজ ও রিসোর্টের ৯০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। অন্যদিকে সিলেট বিভাগে পর্যটনে সাম্প্রতিক সময়ে নতুন মাত্রা যোগ করেছে সুনামগঞ্জের হাওর। হাওরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে আধুনিক পর্যটনসুবিধা। এ কারণে তিন দিনের ছুটিতে পর্যটকদের একটি বড় অংশই এবার ছুটছেন হাওর দর্শনে।
হোটেল মোটেল ব্যবসায়ীরা জানান, এরই মধ্যে কক্সবাজার ও সিলেটের হোটেল- মোটেল ও রিসোর্টের অধিকাংশ কক্ষ অগ্রিম ভাড়া বা বুকিং হয়ে গেছে। কক্সবাজার ও সিলেটের ব্যবসায়ীরা জানান, ২৮, ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর সামনে রেখে পর্যটকরা মাসখানেক আগে থেকে হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টের কক্ষ ভাড়া বা অগ্রিম বুকিং নেয়া শুরু করেন। কক্সবাজারে ছোট ও মাঝারি মানের হোটেল কিংবা রেস্টহাউজের একটা কক্ষের ভাড়া ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত। মাঝারি মানের হোটেলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষের ভাড়া দুই হাজার টাকা থেকে চার হাজার টাকার মধ্যে। আর একটু ভালো মানের হোটেলে এক রাতের জন্য একটা কক্ষ নিতে এ সময়ে পর্যটকদের জন্য গুনতে হবে পাঁচ হাজার থেকে সাত হাজার টাকা। সুযোগ-সুবিধার বিবেচনায় ১০ হাজার কিংবা তার চেয়ে বেশি ভাড়া গুনতে হবে তারকা মানের হোটেলে। তবে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়লে হোটেল-মোটেলের ভাড়াও বেড়ে যায়।
সিলেটের একজন ব্যবসায়ী জানান, সেখানে হোটেল বা রিসোর্টের শতভাগ ইতোমধ্যে অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। পর্যটন সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, টানা তিন দিনের এই ছুটিতে হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহনসহ সিলেটের পর্যটনসংশ্লিষ্ট নানা খাতে ব্যবসা হবে অন্তত ১০০ কোটি টাকার। ঢাকা থেকে যেসব পর্যটক কক্সবাজার ও সিলেটে বেড়াতে যান, তারা সড়কপথের পাশাপাশি আকাশপথেও ভ্রমণ করেন। এ কারণে এ ছুটি ঘিরে উড়োজাহাজের টিকিটেরও চাহিদা বেড়ে গেছে। অন্যদিকে সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরকেন্দ্রিক পর্যটনে ভ্রমণপিপাসুদের আগ্রহ এখন সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে হাউজ বোটে রাতযাপনের ব্যবস্থা হওয়ার পর থেকে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে টাঙ্গুয়ায় হাওরে। এসব বোটে এক রাত থাকার জন্য জনপ্রতি সাড়ে ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা ভাড়া নেয়া হয়। একটি হাউজ বোটে সাধারণত ১২ জন থেকে ২৫ জনের মতো পর্যটক রাত যাপন করতে পারেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা