অক্টোবর হবে জালিম সরকারের পতনের মাস : দুদু
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০
সরকারের উদ্দেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, আন্দোলন এখনো কিছুই দেখেননি। সেপ্টেম্বরের পরে অক্টোবর আসবে। অক্টোবর হবে জালিমের পতনের মাস, স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের মাস। এই অক্টোবরে এই সরকারের সাথে দেনা-পাওনার সব কিছু মীমাংসা হয়ে যাবে।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের’ উদ্যোগে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো এবং আমানুল্লাহ আমান, সালাউদ্দিন আহমেদ, রফিকুল আলম মজনু, তানভীর আহমেদ রবিনসহ জাতীয় নেতাদের মুক্তি দাবিতে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘আমাদের দেশের ৫২ বছর বয়স হয়েছে। এই ৫২ বছর বয়সে আমাদের অর্জন আমেরিকার স্যাংশন ও ভিসানীতি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী আমেরিকায় থাকা অবস্থায় গত শুক্রবার ভিসানীতির কার্যক্রম চালু করেছে। কেন করেছে? কারণ, বাংলাদেশে গণতন্ত্র নাই। ভোটের অধিকার নাই। মানবাধিকার নাই। আর এই কারণে আমেরিকা আগে স্যাংশন দিয়েছিল, এখন ভিসানীতি কার্যক্রম শুরু করেছে। শোনা যাচ্ছে, সরকারি দলের দায়িত্বশীল অনেক নেতা, প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তা এবং সচিব পর্যায়ের অনেকেই এই ভিসানীতির আওতায় পড়েছে। কেন বাংলাদেশের ওপর ভিসানীতি আসবে? এটা কোনো আনন্দের সংবাদ না।’
সরকারের উদ্দেশে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘আপনারা এই দেশ থেকে লাখ, হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। যারা আমেরিকায় টাকা পাঠিয়েছেন, বাড়ি কিনেছেন, তারা সেগুলো ভোগ করতে পারবেন না। আপনারা যে অন্যায় করেছেন, আমেরিকা-ইউরোপ আপনাদের ওপর কী করল সেটা বড় বিষয় না। কিন্তু আমাদের লজ্জা হয় আপনারা প্রশাসনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে যে অপকর্ম করেছেন, বিশ্বের কাছে অপমানজনক অবস্থায় ফেলেছেন, এটা কি আপনারা বুঝতে পারছেন?’
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘রাষ্ট্রের সাথে জনগণের যে চুক্তি, রাষ্ট্রকে মানুষ মানে, কর দেয়। কিন্তু রাষ্ট্র এখন দানবে রূপান্তরিত হয়েছে। এ সরকার দেশের জনগণকে দেখে না, তারা মানুষের সাথে দানবের মতো আচরণ করছে। বর্তমান সরকার যত তাড়াতাড়ি পদত্যাগ করবে, তার জন্য, দেশের জন্য, মানুষের জন্য তত তাড়াতাড়ি ভালো হবে। এই সরকারের পদত্যাগ ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমেরিকায় সাধারণ অধিবেশনে গিয়েছেন এক-তিন দিনের জন্য। কিন্তু শোনা যাচ্ছে, সেখানে তিনি এই পুরো মাস থাকবেন। কিসের জন্য থাকবেন, কেন থাকবেন, এটা রাষ্ট্রীয়ভাবে বলা হয়নি, সরকার থেকেও ভালোভাবে বলা হয়নি।’
দুদু বলেন, ‘আবার শোনা যাচ্ছে, তিনি অতি তাড়াতাড়ি চলে আসবেন। আসেন পদত্যাগ করেন। যত তাড়াতাড়ি পদত্যাগ করবেন, তত ভালো হবে। দেশের মানুষ চায় আপনি পদত্যাগ করেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত করেন। দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ হোক। আর যদি পদত্যাগ না করেন, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ বাধ্য করবে কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে। চার দিকের অবস্থা কিন্তু ভালো না। যেখানেই বিএনপি মিটিং সভা-সমাবেশ ডাকে, সেখানেই লাখ লাখ মানুষ হয়।’
সংগঠনের আহ্বায়ক এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব ইঞ্জিনিয়ার মোফাজ্জল হোসেন হৃদয়ের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ-তথ্য বিষয়ক সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মো: ইউনুছ আলী, তাঁতি দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ডা: কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আব্দুল্লাহ আল বাকী, সহ-সাধারণ সম্পাদক শেখ রবিউল ইসলাম রবি, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মুসা ফরাজী, ইউসুফ আলী মিঠু, বিএনপি নেতা মোক্তার আখন্দ, যুব জাগপার সভাপতি মীর আমির হোসেন আমু, ওবায়দুর রহমান, শফিকুল ইসলাম সবুজ প্রমুখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা