চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার রেজিস্ট্রেশন চলবে ২০ জুন পর্যন্ত

চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয়েছে বৃহৎ পরিসরের আন্তর্জাতিক মানের হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা। দুই বিভাগে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় দেয়া হবে ছয়জনকে বিশেষ পুরস্কার। একই সাথে ছয় বিজয়ীর পিতা-মাতাকে দেয়া হবে পবিত্র ওমরাহ পালনের সুযোগ। প্রতিযোগিতার রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া গত ৮ মে থেকে শুরু হয়ে চলবে আগামী ২০ জুন পর্যন্ত। গতকাল সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান প্রতিযোগিতা আয়োজনকারী সংস্থা জলিল-জাহান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আলহাজ মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পূর্ণাঙ্গ ৩০ পারা ও ১৫ পারার দু’টি পৃথক বিভাগে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। ৩০ পারা বিভাগে প্রথম পুরস্কার এক লাখ এক টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৫০ হাজার এক টাকা, তৃতীয় পুরস্কার ২৫ হাজার এক টাকা এবং চতুর্থ থেকে দশম স্থান অর্জনকারীদের প্রত্যেকের জন্য থাকবে ১০ হাজার এক টাকা পুরস্কার।

অনুরূপভাবে ১৫ পারা বিভাগে প্রথম পুরস্কার ৫০ হাজার এক টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ২৫ হাজার এক টাকা এবং তৃতীয় পুরস্কার ১৫ হাজার এক টাকা এবং চতুর্থ থেকে দশম স্থান অর্জনকারীদের প্রত্যেকের জন্য থাকবে পাঁচ হাজার এক টাকা পুরস্কার। এ ছাড়াও উভয় বিভাগের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী অর্থাৎ মোট ছয়জনের গর্বিত পিতাদের জন্য থাকবে পবিত্র ওমরাহ পালনের সুযোগ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ৮ মে ২০২৩ থেকে প্রতিযোগিতার রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে; আগামী ২০ জুন পর্যন্ত তা চলবে। ৩০ পারা বিভাগে অনূর্ধ্ব ১৬ বছর ও ১৫ পারা বিভাগে অনূর্ধ্ব ১৪ বছরের শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। প্রতিযোগিতাটি প্রাথমিক পর্যায়ে সাতকানিয়ার কেরানীহাটে সি-ওয়ার্ল্ড রিসোর্টে ১৭, ১৮, ১৯ ও ২০ জুলাই চার দিনব্যাপী মোট চারটি রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক ও চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হওয়ার পর আগামী ১৯ আগস্ট সাতকানিয়ার কেরানীহাটে সি-ওয়ার্ল্ড রিসোর্টে সব প্রতিযোগী, সংশ্লিষ্ট শিক্ষকবৃন্দ, সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সব বীর মুক্তিযোদ্ধা, সব মসজিদের খতিব, ইমাম ও মুয়াজ্জিন, প্রশাসনের স্থানীয় কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের জন্য মেজবানের আয়োজন করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জলিল-জাহান ফাউন্ডেশনের সদস্য মুজিবুল হক চৌধুরী, গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, বাহাউদ্দীন জুয়েল, সাজ্জাদ খালেদ সুমন, সাইফুদ্দিন চৌধুরী, মো: আলী, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য বোখারী আযম, সাংস্কৃতিক সংগঠক খুরশীদ উল আলম খোকন, আব্দুল মালেক খান, কামরুল রশীদ পারভেজ, সাইফুদ্দিন খালেদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি