১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মালয়েশিয়ায় ৫ লাখ বাংলাদেশীর কর্মসংস্থান নিশ্চিতে দূতাবাসের সত্যয়ন স্বচ্ছতা জোরদার

-


মালয়েশিয়ায় কলিং ভিসার মাধ্যমে প্রায় পাঁচ লাখ বাংলাদেশী শ্রমিকের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে চার লাখ ২৭ হাজার ৭৫৯ কর্মী নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে মালয়েশিয়ার সরকার। এর মধ্যে দুই লাখ কর্মী মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছে। বাকি কর্মীদের যাবতীয় প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা এসেছে। কেউ কেউ অভিযোগ করছেন দূতাবাস কর্তৃক সত্যয়নে সময় লাগছে। দূতাবাস কর্তৃপক্ষ বলছে, ইতোমধ্যে কিছু কিছু কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে তারা শ্রমিকদের মাসের পর মাস কাজ না দিয়ে বসিয়ে রাখছে। এসব অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে দূতাবাস কোম্পানির সাথে কথা বলে তাদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করছে।
তাই সঙ্গত কারণেই সব তথ্য উপাত্ত যাচাই করে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কিছুটা সময় লাগছে।
দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, সত্যয়নে স্বচ্ছতার জন্য যেমন দরকার প্রয়োজনীয় সময় তেমনই দরকার দক্ষ লোকবল। হাইকমিশনের শ্রম বিভাগ এসব সত্যয়নের দায়িত্বে ন্যস্ত। তারা ছুটির দিনসহ দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে লাখ লাখ সত্যয়নের আবেদনগুলো সম্পন্ন করছেন। তাই স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

মাঝখানে মালয়েশিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল দেশটির মানবসম্পদ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদনের পর বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক সত্যয়নের প্রয়োজনীয়তা নেই। কিন্তু শ্রমবাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, কলিং ভিসায় দূতাবাসের নজরদারি অব্যাহত না রাখলে প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশী শ্রমিকরা প্রতারিত কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। তাই স্বচ্ছতার ভিত্তিতে জনশক্তি নিয়োগ করা হলে নিয়োগকর্তাদের জবাবদিহিতার মধ্যে আনা যায়।
মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত গোলাম সারোয়ার বলেন, কিছু কিছু কর্মী মালয়েশিয়ায় এসে কাজ না পাওয়ার ঘটনা হাইকমিশনের নজরে এসেছে। এ ক্ষেত্রে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ডিমান্ড অনুমোদন প্রক্রিয়ার দুর্বলতা ও কিছু কিছু এজেন্সির গাফিলতি পরিলক্ষিত হয়েছে। তবে মালয়েশিয়ায় এসে কাজ না পাওয়া ভাগ্যবিড়ম্বিত কর্মীর সংখ্যা মোট আগত কর্মীর তুলনায় খুবই নগণ্য এবং এটি এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণযোগ্য সীমার মধ্যে রয়েছে। এই সব বাংলাদেশী কর্মীদের সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট নিয়োগকর্তা, মালয়েশিয়া সরকারি দফতর এবং নিয়োগকারী এজেন্টের সাথে বাংলাদেশ হাইকমিশন নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে যাতে করে বৈধভাবে আগত একজন বাংলাদেশী কর্মীও মালয়েশিয়াতে বিড়ম্বনার শিকার না হয়। তবে এক্ষেত্রে মালয়েশিয়ার ডিমান্ড অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ ও উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোকে আরো দায়িত্বশীল হওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement