২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
সংবাদ সম্মেলনে দাবি

জোসেফ বাহিনীর স্বার্থ রক্ষায় গ্রেফতার করানো হয় সাবেক দুই কাউন্সিলরকে

-

শীর্ষ সন্ত্রাসী খেতাব পাওয়া ভাই ও ভাতিজাদের স্বার্থ হাসিল করতে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি পরিকল্পিতভাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক দুই কাউন্সিলরকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করিয়েছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ৩৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীব ও ৩২নং ওয়ার্ডের হাবিবুর রহমান মিজান। ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারেকুজ্জামান রাজীব বলেন, মানুষের ভালোবাসা নিজের পরিশ্রমে খুব অল্প বয়সেই আমি সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। যার কারণে জনগণ আমাকে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত করেন। কিন্তু ওই ওয়ার্ডে ঢাকার শীর্ষসন্ত্রাসী খেতাব পাওয়া তোফায়েল আহমেদের জোসেফ-হারিস-আনিস পরিবারের সদস্য ও একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির ভাতিজাকে কাউন্সিলর করবে বলে সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ২০১৯ সালের অক্টোবরে আমাকে গ্রেফতার করানো হয়। রাতভর আমার বাসা ও অফিসে তল্লাশি শেষে অভিযান পরিচালনাকারী দল গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল, আমার কোন ক্যাসিনো সম্পৃক্ততা নেই। অথচ সেই অভিযান ছিল ‘ক্যাসিনো অভিযান’। এমনকি বিদেশে আমার কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য-প্রমাণও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্তে পায়নি বলেও দাবি করেন তিনি। সাবেক এ কাউন্সিলর বলেন, নব্বই দশক থেকে জোসেফ-হারিস পরিবার ঢাকা শহরের সন্ত্রাসীগোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত। মোহাম্মদপুর তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের পুরনো অভয়ারণ্য। সেই এলাকার একজন কাউন্সিলর ছিলাম আমি। রাজনীতির আড়ালে মূলত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিষ্ঠিত ‘ভাতিজা আসিফ আহমেদ’কে কাউন্সিলর বানাতে পরিকল্পিতভাবে আমাকে গ্রেফতার করানো হয়েছিল। এ ঘটনার আগে তার বিরুদ্ধে থানায় একটি জিডিও ছিল না বলে দাবি করেন তিনি।
হাবিবুর রহমান মিজান বলেন, ১৯৯৬ সালের ৭ মে মোহাম্মদপুরে আমার ভাই মোস্তাফিজুর রহমানকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই মামলায় শীর্ষসন্ত্রাসী তোফায়েল আহমেদ জোসেফকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। যে রায় বহাল রাখেন হাইকোর্টও। তবে আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। ওই মামলায় আরো সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিল জোসেফের ভাই হারিস আহমেদ ও আনিস আহমেদ। এর মধ্যে হারিস ও আনিস রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা পেয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যান। জোসেফও রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে ক্ষমা পেয়ে ২০১৮ সালে মুক্তিপান।
সাবেক এই কমিশনার বলেন, জোসেফ-হারিস-আনিস বাহিনীর মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার থেকে মুক্তি পেলেও বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের হুমকিতে আমাদের জীবন শঙ্কায় রয়েছে। তাই আমাদের জীবনে ঘটে যাওয়া অমানবিক এই ঘটনাগুলোর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।

 


আরো সংবাদ



premium cement